Coochbehar: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, শহরে বিলি লিফলেট
চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নামে লিফলেট ছড়ানো হল কোচবিহারের রাস্তায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের নামেও তোলা হয়েছে একই অভিযোগ।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি ও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে। কোচবিহার শহরের রাস্তায় পড়ে রয়েছে বেনামা লিফলেট। চাকরির বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দারেরও। লিফলেট বিলির নেপথ্যে কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হিম্মত থাকলে সামনে এসে অভিযোগ তুলুক, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্য়ান।
চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগে, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নামে লিফলেট ছড়ানো হল কোচবিহারের রাস্তায়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের নামেও তোলা হয়েছে একই অভিযোগ। গোটা ঘটনায় বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছেন তাঁরা। কে টাকা নিয়েছে, কারও অজানা নয়। পাল্টা জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। চাকরি দিতে পারেননি, টাকাও গায়েব করে দিয়েছেন। সোমবার সাতসকালে এমনই লিফলেট ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল কোচবিহারে! শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া লিফলেটে, প্রাক্তন মন্ত্রী ও কোচবিহারের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ।
লিফলেটে নাম রয়েছে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ও তৃণমূল নেত্রী কল্যাণী পোদ্দারেরও। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি ও বদলি করার নামে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
শুধু চাকরির নামে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগই নয়, লিফলেটে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, বাড়ি ঘেরাও করে টাকা আদায় করা এবং টাকা ফেরত না দিলে পিঠের চামড়া উঠিয়ে নেওয়ার। আর নীচে লেখা রয়েছে, কোচবিহার জনগণ।
যদিও বিষয়টির পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে দাবি করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং কল্যাণী পোদ্দার। কোচবিহারের তৃণমূল নেতা ও পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, যেহেতু গতকাল আমি নিশীথ প্রামাণিকের বাবার নাম আবাস যোজনার তালিকায় ওঠা নিয়ে বলেছিলাম, তাই ওরা কিছু কাউন্টার দিতে পারছে না, তাই বেনামে বিজেপি এসব করুক। বাড়ি ঘেরাও তো দূরের কথা, সামনে আসুক।
কোচবিহারের তৃণমূল নেত্রী ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কল্যাণী পোদ্দার বলেছেন, বিজেপির ষড়যন্ত্র, আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। কোচবিহারের জনগণ জানে, কোচবিহারের মানুষের নাম দিয়ে মিথিযা প্রচার করা হচ্ছে। আদালতে যাব।
কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক ও জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের কথায়, প্রাক্তন মন্ত্রী ও কল্যাণী পোদ্দার চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন, এটা কোচবিহারের সবাই জানেন। এতদিন কেউ বলার সাহস পাননি। এখন বিরোধীরা আস্তে আস্তে শক্তিশালী হচ্ছে, তাই মানুষের সাহস বাড়ছে, টাকা আদায় করা, এখন তারা লিফলেট বিলি করছে, আগামী দিনে বাড়িতে যাবে এবং রাস্তায় ধরে ধরে টাকা আদায় করবে।
চলতি বছরের মে মাসে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নজিরবিহীনভাবে স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন অঙ্কিতা অধিকারী। যাঁর বাবা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার, লিফলেট ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধল কোচবিহারে।