Coochbehar: দ্বন্দ্ব কাটাবে কে? সেই প্রশ্নেও দ্বন্দ্বের সুর কোচবিহারে
Coochbehar News: দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার দায়িত্ব কার? এ নিয়ে কোচবিহারে এবার একে অপরের দিকে দায় ঠেললেন জেলা তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: প্রায়শই সামনে চলে আসে নেতাদের দ্বন্দ্ব। কখনও না কখনও কোনও না কোনও নেতার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু বারবার সেই দ্বন্দ্ব মেটানোর কথা বলে এসেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলার দায়িত্ব কার? এ নিয়ে কোচবিহারে এবার একে অপরের দিকে দায় ঠেললেন জেলা তৃণমূলের বর্তমান ও প্রাক্তন সভাপতি।
আর মাত্র কয়েকটা মাস। সব ঠিক থাকলে তারপরেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বারবার কোচবিহারে তৃণণূলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। কোচবিহারে জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবং প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের দ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলে আলাদা আলাদা কর্মসূচি নিতে দেখা যায় বর্তমান ও প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন দিনহাটার বিধায়ক এবং রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি উদয়ন গুহ। কয়েকদিন আগে উদয়ন গুহ বলেন, 'আমি চাই সবাই একসাথে চলুক। কার দোষ কম, কার দোষ বেশি, এসব নিয়ে খোঁজ খবর করতে গেলে জীবনেও মিটবে না।' উদয়ন গুহর মন্তব্যকে সমর্থন করেন প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি। পাশাপাশি বল ঠেলে দেন বর্তমান জেলা সভাপতির কোর্টে।
কে কী বলছেন?
কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, 'উদয়ন গুহ তো ঠিকই কথা বলেছেন। আমিও তো ওইভাবেই কথা বলি। হয়ে উঠছে না, এখন যে জেলায় নেতৃত্ব দেয়, এই দায়িত্বটা তাঁর। বাড়ির যে অভিভাবক থাকে, তাঁরই দায়িত্ব থাকে, পরিবারের সবাইকে একসূত্রে বেঁধে রাখার।' পাল্টা বর্তমান জেলা সভাপতি বলেন, 'দীর্ঘদিন পরিবার চালানোর অভিজ্ঞতা তাঁদের রয়েছে। তাঁদের সহযোগিতাটা অত্যন্ত জরুরি। তাঁরা যদি সহযোগিতা করেন, নিশ্চিতভাবে দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা আরও ভাল করে পালন করা আমাদের সকলের পক্ষে সম্ভব হবে।'
বিজেপির কটাক্ষ:
এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, 'আসলে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই দ্বন্দ্ব। এদের এই দ্বন্দ্ব কোনওদিনও মিটবে না।'
আরও পড়ুন: আষাঢ় শেষেও দেখা নেই ইলিশের, শূন্য হাতে ফেরাচ্ছে কোলাঘাট