Medical Treatment: জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাজ্যে, কোভিড আবহে বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের
Operation stopped Kolkata: কোভিড আবহে জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জানান হয়েছে, জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে ক্রমশ উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে করোনা ভাইরাস। চোখের পলকে বাড়ছে সংক্রমণ। কোভিড আবহে জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। জানান হয়েছে, জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জরুরি ছাড়া সব ধরনের অস্ত্রোপচার বন্ধ ন্যাশনাল মেডিক্যালেও। অনির্দিষ্টকাল বন্ধ থাকবে অস্ত্রোপচার, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Coronavirus) প্রকোপ। এদিকে এরই মধ্যে চিন্তা বাড়ল ওমিক্রন (Omicron) নিয়ে। উদ্বেগ বাড়িয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক-ইনসাকগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ৭০ শতাংশই ওমিক্রন। ২ সপ্তাহের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে ৭০ শতাংশই ওমিক্রন। আক্রান্তদের বাকি নমুনায় মিলেছে ডেল্টা, ডেল্টা প্লাসও। ওমিক্রনের জন্যেই রাজ্যের বেলাগাম করোনা, অনুমান রিপোর্টে।
রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে। দেশের সার্বিক ছবিটা আরও উদ্বেগের। সাত মাস পর ফের একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা একলক্ষ ছাড়িয়েছে। বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান থেকে পশ্চিম বর্ধমান... বিধিভঙ্গের ছবিটা সর্বত্র এক। জেলায় জেলায় চলছে পুলিশি অভিয়ান। তারপরেও অসচেতন বহু মানুষ। করোনা আক্রান্ত বীরভূম স্বাস্থ্য জেলায় ১০৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ তাঁর দফতরের ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ৫ চিকিৎসক ও ২০ জন নার্স সহ ৩৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ১০ জন চিকিৎসক সহ ১২ জন কর্মী আক্রান্ত । বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই সহ ৪ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
আরও পড়ুন, কানাড়া ব্যাঙ্কে করোনা থাবা, আক্রান্ত সমস্ত কর্মীরা
এদিকে, কোভিড আবহে পরিষেবা সামাল দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ। ২৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রাজ্যজুড়ে নিয়োগ স্বাস্থ্য দফতরের। বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে নিয়োগ। বহু চিকিৎসকই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই পরিষেবা সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পানিহাটি পুরসভা এলাকায় গত কয়েকদিনে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৩০০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভার মাতৃসদনে ৩০ বেডের সেফ হোম চালু হয়েছে। পানিহাটি পুরসভার ৪, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ২৭, ৩০, ৩২, ৩৩ ও ৩৫ - এই ১০টি ওয়ার্ড ধরে ক্লাস্টার হিসেবে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। গোবরডাঙাতেও বাড়ছে সংক্রমণ। এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১৪ জন। এদের মধ্যে ৫ জন কোভিড হাসপাতালে ভর্তি। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেফ হোম। তৈরি করা রয়েছে ৫ বেডের অক্সিজেন পার্লার।