Covid: 'এতটা এপিডেমিক আগে দেখিনি', আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, সতর্ক করলেন চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ
Covid Endemic: চিকিৎসকদের অনেকে মনে করছেন, এরই মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভর করে হাজির হয়েছে করোনার ফোর্থ ওয়েভ। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা।
সন্দীপ সরকার ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ভারতে (India) আছড়ে পড়েছে করোনার (Coronavirus) চতুর্থ ঢেউ! হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বড়দের পাশাপাশি, মারাত্মক হারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা (Children)। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন? পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা (Doctors)।
দেশে এখনও ১২ বছরের কম বয়সীদের ভ্যাকসিন (Vaccine) দেওয়া শুরু হয়নি। চিকিত্সকদের অনেকে মনে করছেন, এরই মধ্যে নতুন ভ্যারিয়েন্টে ভর করে হাজির হয়েছে করোনার ফোর্থ ওয়েভ। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা।
বাড়ছে শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা
চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, "বেশিরভাগ বাচ্চাদের দেখা যাচ্ছে জ্বর, হালকা সর্দি, গলাব্যথা। অল মোস্ট ৭০ পারসেন্ট বাচ্চা...যাঁরা জ্বর নিয়ে আসছে, তাঁরা পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে.. তারপর আরটিপিসিআর করে কনফার্ম করে নিচ্ছি। ওদের কারও শ্বাসকষ্ট নেই। আনকমফোর্টনস নেই। নাক দিয়ে জল, মাথা ব্যথা, টেস্ট করলই পজিটিভ। এতটা এপিডেমিক আগে দেখিনি। কিন্তু সিরিয়াস কেস খুব একটা নেই।"
আরও পড়ুন, জন্ম দিয়েই সন্তানকে বিক্রির চেষ্টা মায়ের, হাসপাতালের তৎপরতায় পর্দাফাঁস
এক্ষেত্রে উপসর্গ বড়দের মতোই। খুব বেশি জ্বর, পেটে ব্যথা, পেট খারাপ, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, অনেকটাই ডেঙ্গির মতো উপসর্গ। চিকিত্সক দিব্যেন্দু রায়চৌধুরী বলেন, "শুধু প্যারাসিটামল দিয়ে যেতে হবে। কোভিড টেস্ট করতে হবে।"
বাড়ছে করোনা
প্রসঙ্গত, দেশের মতোই, রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, মে মাসে যেখানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৪৫। সেখানে জুন মাসে আক্রান্ত ১০ হজার ২০ জন। অর্থাত্ প্রায় ৯ গুণ। জুলাইয়ের প্রথম তিন দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার পেরিয়ে গেছে। আক্রান্তের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুও। মে মাসে যেখানে করোনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। সেখানে জুন মাসে মারণ ভাইরা প্রাণ কেড়েছে ১৫ জনের। জুলাইয়ে তিনদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
কী জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়লেও, চিন্তার কিছু নেই। প্রয়োজন শুধু সতর্কতার। চিকিত্সকদের পরামর্শ, বাচ্চাদের মধ্যে এমন উপসর্গ দেখা দিলে, অবশ্যই করোনা টেস্ট করানো উচিত। শিশুকে আইসোলেশনে রাখা উচিত। স্কুল বা কোচিং ক্লাসে একেবারেই পাঠানো উচিত নয়। সতর্কতার পাশাপাশি শিশুদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে অভ্যস্ত করানোর কথাও বলছেন চিকিত্সকরা।