Coronavirus : আজ থেকে ৩ দিন বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুর-এলাকার বাজার, দোকান
সকাল থেকেই বন্ধ রাজপুর, গড়িয়া, বালিয়া-সহ একাধিক বাজার। চলছে বাজার এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ।
রঞ্জিত সাউ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা: করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলায় কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। আজ থেকে তিনদিন বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এলাকার বাজার, দোকান। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বেচাকেনায় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
সকাল থেকেই বন্ধ রাজপুর, গড়িয়া, বালিয়া-সহ একাধিক বাজার। চলছে বাজার এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ। এছাড়া সকলকে সতর্ক করা হয়। মাস্ক পরতে বলা হয়। মাস্ক তুলে দেওয়া হয় পথচারীদের হাতে।
সবে যখন একটু আশার আলো দেখা গেছিল, তখনই ফের করোনার রক্তচক্ষু! উৎসবের মরসুমের পরই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে ফের বাজার-হাটে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। মাইকে পুলিশের সচেতনতা প্রচার। কারও মুখে মাস্ক না দেখলেই, সতর্ক করা হচ্ছে। হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই জেলাতেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায়, আগামী তিনদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সমস্ত বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালেই, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া, বালিয়া সহ বিভিন্ন বাজারে টহল দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে, সোনারপুর পুর এলাকায় ১৯টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে, সেই সব এলাকায় বোর্ড লাগানো হয়। এলাকাবাসীকে সচেতন করেন পুলিশকর্মীরা। করোনা বিধি মানতে, হুগলির ব্যান্ডেলের চকবাজার এলাকাতেও সতর্কতামূলক প্রচার চালায় পুলিশ। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাইকে প্রচার করেন চুঁচুড়া পুরসভার কর্মীরা।
বিনা মাস্কে কাউকে দেখলেই, রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সতর্ক করতে দেখা যায়। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন পুলিশ কর্মীরা। সতর্ক-সচেতনতা তো চলছেই। কিন্তু মানুষের হুঁশ ফিরবে কবে?
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৬ জন। এই সময় পর্বে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৩৭ জন। বুধবার প্রকাশিত সরকারি বুলেটিন বলছে, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭২ জন। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্বেগ বাড়িয়ে জলপাইগুড়িতে একদিনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সময় পর্বে। ২৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ১৫৯ জন, ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসেব বলছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ জন। সেখানে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।