Nadia: 'যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকেই সাক্ষী করছে', ধর্ষণ মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের
Nadia: অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই তরুণীকে উত্য়ক্ত করছিল অভিযুক্ত। এরইমধ্য়ে ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ ওঠে।
সৌভিক মজুমদার ও প্রদ্য়োৎ সরকার, নদিয়া: তদন্তের নামে প্রতারণা হচ্ছে! যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকেই সাক্ষী করছে পুলিশ! নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। গত ১৮ই অগাস্ট নদিয়ার কালীগঞ্জে, এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে মিগরাইল শেখ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই তরুণীকে উত্য়ক্ত করছিল অভিযুক্ত। এরই মধ্য়ে ধর্ষণের মতো মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। পরবর্তীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। শুক্রবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।
মামলাকারির আইনজীবী এ দিন জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীকে এই ঘটনার সাক্ষী করা হয়েছে এবং নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে পাল্টা মামলা হয়েছে।
তাতেই বিস্ময়প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, যাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকেই সাক্ষী করা হয়েছে! এর পর, পুলিশের উদ্দেশে কার্যত ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, এটা তদন্তের নামে প্রতারণা হচ্ছে। পাশাপাশি, কেস ডাইরি নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিককে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ১৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
অভিযোগকারিণীর পরিবারকে চাপ
অন্যদিকে আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসে। নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ তোলাতে অভিযোগকারিণীর পরিবারকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে নালিশ জানানোর পর পুলিশ সক্রিয় হলে, পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে দুর্গাপুরে গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বাউড়ি সমাজের একাংশ। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে হয়। বিক্ষোভকারীদের আটক করে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। ২০ অক্টোবর নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর গ্রেফতারও হয় অভিযুক্ত। নির্যাতিতার দাবি ছিল, ধর্ষণের অভিযোগ তোলাতে বাড়িতে গিয়ে চাপ দিচ্ছে বাউড়ি সমাজের একাংশ। অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হলে, পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে পথ অবরোধও করে অভিযুক্তপক্ষ।