Covid Booster: বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা বয়স্কদের মধ্যেই, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কর্মসূচি শহরে
Covid Booster Dose:একসপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ। রাজ্যজুড়ে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা।
অনির্বাণ বিশ্বাস, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং সন্দীপ সরকার, কলকাতা: করোনার (Coronavirus) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে কলকাতায় (Kolkata)! বয়স্কদের মধ্যেই বুস্টার না নেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি, জানালেন ডেপুটি মেয়র। এই পরিস্থিতিতে, স্বাস্থ্য দফতরের (Health Department) তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি
একসপ্তাহে প্রায় দ্বিগুণ। রাজ্যজুড়ে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে করোনা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা, দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের হেল্থ বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৮৮ জনের মধ্যে, ১০৮ জনই কলকাতার। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮।
বুস্টারে অনীহা
এই পরিস্থিতিতে শহরবাসীর বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনীহা নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভা। শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে ডেপুটি মেয়র ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ জানান, বুস্টার ডোজ নিতে শহরবাসীদের অনেকেই অনীহা প্রকাশ করছেন। বয়স্কদের মধ্যেই বুস্টার না নেওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন, রাজ্যে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট, চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা!
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরে মোট বাসিন্দার সংখ্যা যেখানে প্রায় ৪৫ লক্ষ, সেখানে ২১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বুস্টার টিকা নিয়েছেন মাত্র ৪ লক্ষের বেশি। এই মুহূর্তে কলকাতায় ষাটোর্ধ্বর সংখ্যা ৯ লক্ষের সামান্য বেশি। সেখানে বুস্টার নিয়েছেন মাত্র ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৪ জন। অর্থাত্, সিংহভাগই এখনও বাকি।
সার্ভে রিপোর্ট
সম্প্রতি চতুর্থ দফার সেন্টিনেল সার্ভে হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, তাতে দেখা গেছে, যাঁদের ভ্যাকসিনেশন হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত। চিকিত্সক শিবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ভ্যাকসিনে অনীহা। সরকার যখন সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন টিকা যদি না নিই, তাহলে দেওয়াতে হবে। বুস্টার নেওয়া জরুরি।"
এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণে জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।