Durgapur Corona Case: দুর্গাপুর পুরসভায় করোনা থাবা, আক্রান্ত ২৫ আধিকারিক-কর্মী
Durgapur Covid Cases: এই প্রেক্ষাপটে ঝুঁকি না নিয়ে এবার দুর্গাপুর নগর নিগমে জনসাধারণের ঢোকার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু হল।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনার থাবা এবার দুর্গাপুর পুরসভায়। সেখানের ২৫ জন আধিকারিক ও কর্মী কোভিড আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর। এই প্রেক্ষাপটে দুর্গাপুর পুরসভায় জনসাধারণের ঢোকার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে বেশ কিছু নিয়ম।
এবার করোনার থাবা দুর্গাপুর নগর নিগমে। নগর নিগমের কমিশনার ময়ূরী ভাসু, হেলথ অফিসার ডক্টর সাহানা-সহ প্রায় পঁচিশ জনের মতো কর্মীরা-আধিকারিকরা আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে ঝুঁকি না নিয়ে এবার দুর্গাপুর নগর নিগমে জনসাধারণের ঢোকার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু হল। নগর নিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ রাখি তিওয়ারি জানিয়েছেন, এক এক দফতরে এক এক রকম সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নয়া নিয়মে জানান হয়েছে এর বাইরে বেশি মানুষ ভিতরে ঢুকতে পারবে না। ধীরে ধীরে সবাই সুস্থ হলে তারপর শিথিল করা হবে নিয়ম। গোটা দুর্গাপুরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ রাখি তিওয়ারি জানিয়েছেন। তবে কর্মী কম হওয়ায় কাজের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কিছু কিছু দফতরে।
এদিকে, ব্রিটেনের তরফে জানান হয়েছে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন আবহের মাঝেই প্রায় ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের আরও একটি উপপ্রজাতি। যাকে- 'চোরা ওমিক্রন' নাম দিয়েছে গবেষকরা। জিনোমিক সিকোয়েন্সসিং-এ ধরা পড়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনটি। বলা হচ্ছে, এই 'চোরা ওমিক্রন'কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নয়া বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে ফের চিন্তা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন।
ব্রিটেন ছাড়াও বি.২ সাব-স্ট্রেনটি ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং সুইডেনে মিলেছে। ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা বিএ.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের তিনটি উপ-স্ট্রেন রয়েছে -- BA.1, BA.2 এবং BA.3। সেখানে বলা হয়েছে, ওমিক্রন সংক্রমণের মধ্যে BA.1 সাব-স্ট্রেন প্রভাবশালী আর BA.2 সাব-স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ডেনমার্কে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রনের বি.২ সাব-স্ট্রেনটি। গত ডিসেম্বরে যেখানে ডেনমার্কের মোট ওমিক্রন আক্রান্তদের ২০ শতাংশ রোগী বি.২ আক্রান্ত ছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহে সেই শতাংশের হার ৪৫ হয়েছে। অ্যাক্টিভ কেসের বেশিরভাগই এই স্ট্রেনে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে।