Cow Smuggling Case: অনুব্রতর রাজ্যে ফেরার আশা আরও ক্ষীণ? দিল্লিতে মামলা স্থানান্তরে উঠছে প্রশ্ন
Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় আরও বড় অস্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল। ইডির দায়ের করা মামলা আগেই আসানসোলের বিশেষ আদালত থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল! এই সংক্রান্ত সমস্ত মামলাই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। মামলা হস্তান্তরের আবেদন করে আগেই মামলা করেছিল ইডি। সেই মামলাতেই এদিন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার সমস্ত রেকর্ড দিল্লিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল?
গরুপাচার মামলায় আরও বড় অস্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল। ইডির দায়ের করা মামলা আগেই আসানসোলের বিশেষ আদালত থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত হয়েছিল। সেই মামলাতেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি।এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবেদনের ভিত্তিতে,সিবিআইয়ের দায়ের করা গরুপাচারের সব মামলাও দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরের নির্দেশ দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালতের বিচারক। ফলে, বর্তমানে তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের রাজ্যে ফেরা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল আগেই, এবার বাংলায় ফেরার সেই সম্ভাবনাই যেন আরও ক্ষীণ হয়ে পড়ল।
সিবিআইয়ের দায়ের করা গরুপাচারের মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরের আবেদন করে গত ২৩ জুলাই মামলা দায়ের করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ১৯ অগাস্ট এবং চলতি মাসের দু'তারিখ সেই মামলার শুনানি হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। দু'দিনই বিচারকের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়েন ইডির আইনজীবী। বুধবার ইডির দায়ের করা সেই আবেদনের শুনানি ছিল আসানসোলের বিশেষ আদালতে। আগের দুই দিনের মতোই এদিনও, মামলা স্থানান্তরের এই আবেদন করার এক্তিয়ার ইডির আছে কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্য বা কোনও নথি দেখতে চান বিচারক।
পাশাপাশি গরুপাচার মামলায় সিবিআই ও ইডির তদন্তে তথ্যের কী যোগসূত্র রয়েছে, তাও জমা দিতে বলেন। উত্তরে ইডির আইনজীবী ২০০৫ সালের ১ জুলাই, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি পেশ করেন। তাতে আর্থিক দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে চুয়াল্লিশের একের সি ধারায় ইডি মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও গরুপাচার মামলায় ইডির করা FIR-এর একটি কপিও জমা দেন ইডির আইনজীবী। নথি দেখে বিচারক বলেন, এই দুটো জিনিসই দেখতে চাওয়া হচ্ছিল। তখনই, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে বলেন, গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত চলছে। তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইডির এই আবেদন যেন স্থগিত রাখা হয়। এরপর রায়দান কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখেন বিচারক। পরে গরুপাচারে সিবিআইয়ের সব মামলা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলার সমস্ত রেকর্ড দিল্লিতে পাঠানোর কথাও বলেছেন বিচারক।
এই নির্দেশে আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডল? রাজ্যে ফেরার আশা আরও ক্ষীণ? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহী নই। মামলা এখানেই থাকুক বা দিল্লিতে যাক, সবরাই একটাই প্রশ্ন, সমাধান কবে হবে, তদন্ত শেষ কবে হবে?’’ পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “কী প্রমাণ করতে পেরেছে আজ পর্যন্ত? শুধুই কি মিডিয়া ট্রায়াল? তদন্তের নামে প্রহসন, তদন্তের নামে সম্মানহানি, মিডিয়া ট্রায়াল, এর বিরোধিতা আমরা করছি এবং করব। কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে দল তার পাশে থাকবে না।’’ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও, তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সেই সংক্রান্ত সব মামলাই এবার স্থানান্তরিত হল দিল্লিতে।
আরও পড়ুন: Bankura News: জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরেই শ্যুটআউট বাঁকুড়ায়! এখনও অধরা হামলাকারীরা