Md. Salim : 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সওকত-আরাবুলদের কমিশনার করতে পারেন', ভাঙড় নিয়ে নির্দেশিকায় কটাক্ষ সেলিমের
Left Rally : পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ-সহ একাধিক ইস্যুতে আজ গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেন বামেরা
![Md. Salim : 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সওকত-আরাবুলদের কমিশনার করতে পারেন', ভাঙড় নিয়ে নির্দেশিকায় কটাক্ষ সেলিমের CPM Leader Md. Salim attacks Mamata Banerjee over latter's decision on Bhangar to be under Kolkata Police Control Md. Salim : 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে সওকত-আরাবুলদের কমিশনার করতে পারেন', ভাঙড় নিয়ে নির্দেশিকায় কটাক্ষ সেলিমের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/07/26/0bd78d7e5c89a55bfccb0a15b64c8aab1690376621180170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একের পর এক সন্ত্রাসের ছবি দেখা গেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। আর সবথেকে যে জায়গাটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে, তা হল ভাঙড়। এবার সেই ভাঙড়েরই আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক করতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড় নিয়ে নতুন ডিভিশন করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধতে ছাড়লেন না সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি কটাক্ষ করে বললেন, 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে, সওকত মোল্লা-আরাবুল ইসলামকে পুলিশের কমিশনার করতে পারেন।'
এপ্রসঙ্গে সেলিম বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী চাইলে, সওকত মোল্লা-আরাবুল ইসলামকে পুলিশের কমিশনার করতে পারেন, একই ব্যাপার। কলকাতা পুলিশের আওতায় আনুক বা বেঙ্গল পুলিশের আওতায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, তাঁর লুঠের সাম্রাজ্যকে পুলিশকে দিয়ে পাহারা দেওয়াতে। আর লুঠেরাদের, বন্দুকবাজদের, গুন্ডাদের পুষতে। সেটা রাজ্য পুলিশের নামে করবেন, না কলকাতা পুলিশের নামে করবেন, তা নিয়ে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। এই কারণে যে, আদতে গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।'
পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগ-সহ একাধিক ইস্যুতে আজ গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেন বামেরা। মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে পথে নামেন তাঁরা।
সেলিম জানান, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুনোখুনি, হত্যালীলা, লুঠ, কারচুপি এবং ডাকাতি...প্রতিদিন সেটা বেরিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে এই মিছিল। গ্রামাঞ্চলের মানুষ রক্তাক্ত। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত পাওয়ানোর জন্য শহর থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। দ্বিতীয়ত, যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। কোনওদিন ভাবা গেছিল, টোম্যাটো এরকম দামী হয়ে যাবে ! কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্য ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। তার প্রতিবাদে আজকের মিছিল। তৃতীয়ত, কলকাতা থেকে শুরু করে গোটা রাজ্য তথা দেশজুড়ে গণপরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ যে যাতায়াত করবেন, সেই সরকারি ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। আর বেসরকারি ব্যবস্থায় কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। জ্বালানির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল, যেভাবে স্মার্ট মিটারের নাম করে শোষণ করা হচ্ছে, তাতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দায়ী।'
আরও পড়ুন ; ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাস, ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)