CPM Attacked: বানতলায় সিপিএমের মিছিলে হামলায় জখম ৭, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
Rally Of Left: ভাঙড়ের বানতলায় সিপিএমের মিছিলে হামলা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় জখম অন্তত ৭ সিপিএম কর্মী। হইচই বানতলায়। আজ জাঠার সমর্থনে মিছিলের আগেই জমায়েত করেছিলেন সিপিএম সমর্থকরা।
রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ের (bhangor) বানতলায় (bantala) সিপিএমের (cpm) মিছিলে (rally) হামলা (attack)। অভিযোগের তির তৃণমূলের (TMC) দিকে। ঘটনায় জখম (injury) অন্তত ৭ সিপিএম কর্মী। হইচই বানতলায়।
কী ঘটেছিল?
আজ জাঠার সমর্থনে মিছিলের আগেই জমায়েত করেছিলেন সিপিএম সমর্থকরা। অভিযোগ, জমায়েত হতেই হামলা চলে। প্রাথমিক ভাবে যা শোনা যাচ্ছে তাতে ৭-৮ জনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মার খেয়ে সিপিএম সমর্থকদের অনেকে পালিয়েও যান। জখমদের প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। ফের মিছিলও শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে প্রশ্ন করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু তা হলে এই হামলার নেপথ্য়ে কারা? কেনই বা সিপিএমের জমায়েতে আক্রমণ চলল? আপাতত স্পষ্ট উত্তর নেই। শুধু অভিযোগ রয়েছে সিপিএমের।
আগেও হামলার অভিযোগ...
এর আগেও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক হামলার অভিযোগ তুলেছে বামেরা। গত অক্টোবরেই পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সিপিএমের বইয়ের স্টল ভেঙে দিয়েছে। মারধরও করেছে কমরেডদের। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাসবিহারীর শ্রী চৈতন্য লাইব্রেরীর সামনে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রচারের জন্য একটি অটোও মজুত রাখা হয়। ঠিক সেই সময়েই ফের তৃণমূলের একাধিক দুষ্কৃতী তাঁদের দিকে ছুটে আসে এবং হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন কমলেশ্বর। এখানেই শেষ নয়, পরিচালক আরও জানান, 'বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যের ওপর হামলার চেষ্টা' করা হয়। পুরো ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, 'ওই অঞ্চলে জমায়েত করা যাবে না, এই অভিযোগে পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে।' আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য্যেকে যারা হামলার থেকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন, গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকেও, বলে জানান তিনি। পরিচালকের দাবি, 'যে কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং কন্ঠরোধ করার চেষ্টা এটা। গ্রেফতারির কোনও কারণ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি পুলিশ। কেবল বলা হয়েছে, মানুষ ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, তাই জমায়েত করা যাবে না।' যদিও কুণাল ঘোষ পরে টুইটারে লেখেন, 'বই নিয়ে মতবিরোধ কেন হবে? পুজোর ভিড়ে রাজনৈতিক প্ররোচনার প্রচার নিয়ে সমস্যা। তৃণমূল কংগ্রেসেরও স্টল আছে।... সিপিএম পায়ে পা দিয়ে ঝগড়ার তালে। পুজো মানে না, তা পুজোর দিন স্টল কেন? ওরা রবিবার করে স্টল করুক। বই পড়া, না পড়া নিয়ে কোনও ইস্যু হয়নি। নাটক করল ওরা।'
আরও পড়ুন:মেলা-খেলায় টাকা ব্যয়, সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নয় কেন? রাজ্যকে কটাক্ষ বিরোধীদের