Sujan Chakraborty : 'রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করা মানে তো আসলে ভোট লুঠ, জবরদস্তি' আক্রমণ সুজনের
Panchayet Election : বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার আক্রমণ, 'একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে তাই দ্রুত পঞ্চায়েত ভোট সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।'
কলকাতা : রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) ও প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ দিয়েই সম্ভবত আগামী বছরের এপ্রিলে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। কাল ২০টি জেলার আসন বিন্যাস-আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে বিজ্ঞপ্তি, কমিশন সূত্রে খবর। খসড়া তালিকা নিয়ে ডিএম-কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
রাজ্য পুলিশ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন করার খবর সামনে আসতেই তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা থেকে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, সকলেই একযোগে শানিয়েছেন আক্রমণ।
ভোট হলেই তৃণমূল হারবে : সুজন
সম্ভবত আগামী এপ্রিলে রাজ্য পুলিশ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন করার কথা রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সূত্রে খবর মেলার পরই বামেদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'তৃণমূল কি চায় ভোট হোক ? ভোট হলেই তো তৃণমূল হারবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করা মানে তো আসলে ভোট লুঠ। জবরদস্তি। ২০১৮-র নির্বাচনের কথা সবার মনে আছে। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবে না। জমা দিতে পারলে ভোট করতে পারবে না। ভোট করতে পারলে গুণতে পারবে না। গুণে জিতে সার্টিফিকেট পেলে তা কেড়ে নেবে। রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর কথা বলছে কারণ যাতে তা গণতন্ত্রের সম্মত মনোভাবের প্রতিফলন না হয়। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য ওঁরা মুখিয়ে আছে।'
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার আক্রমণ, 'একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে তাই দ্রুত পঞ্চায়েত ভোট সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।' প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "আমাদের দাবি থাকবে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে ভোট। একসময় হয়েছিল। মীরা পাণ্ডের আমলে। আমরা সেই দাবি করব। দরকার হলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আদালতে যাব। কারণ, আমরা এখানকার নির্বাচন কমিশনকে, স্থানীয় প্রশাসনকে বিশ্বাস করি না । নির্বাচন, প্রশাসন, পার্টি মিলেমিশে পঞ্চায়েত লুঠ করেছে। আবার তারা করবে। এখন থেকে সেই পরিকল্পনা করছে। ষড়যন্ত্র করছে।"
এদিকে, বীরভূমের মাড়গ্রামের সমাবেশ থেকে মহম্মদ সেলিমের হুমকি ‘পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে জুতো মেরে তাড়াতে হবে। তৃণমূলের যে সব নেতারা ডুবে ডুবে জল খায়, তাদেরকে এবার ডুবিয়ে দিতে হবে, যাতে আর ভাসতে না পারে।ঝান্ডার ডান্ডা মোটা করতে হবে, কাস্তেতে শান দিতে হবে’।