Calcutta High Court: D.El.Ed-এর ভর্তি প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ঘিরেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ, স্থগিতাদেশ আদালতের
D.El.Ed Admission:২৮ ডিসেম্বর, ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে D.El.Ed-এ ভর্তির জন্য পুনরায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।বলা হয়, ২ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের ফর্ম পূরণ করা যাবে।
কলকাতা: শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি ইস্য়ুতে রাজ্য় রাজনীতি এখনও উথালপাথাল। তার মধ্যেই এবার প্রাথমিকে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের কোর্স D.El.Ed-এর ভর্তি প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ঘিরেও উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এই সংক্রান্ত মামলায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।আপাতত আর কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board of Primary Education)।
ভর্তি প্রক্রিয়ার বিজ্ঞপ্তি ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগ: ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে D.El.Ed-এ ভর্তির জন্য পুনরায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে বলা হয়, ২ রা জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের ফর্ম পূরণ করা যাবে। এখানেই উঠেছে বেনিয়মের অভিযোগ। D.El.Ed অর্থাৎ Diploma in Elementary Education হল ২ বছরের একটি ডিপ্লোমা কোর্স। এই কোর্সের ক্ষেত্রে বছরে ২০০ দিন করে কর্মদিবস বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ ২ বছরে মোট ৪০০ কর্মদিবস থাকতে হবে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের D.El.Ed কোর্সে, ২০২৩-এর শুরুতে কীভাবে ভর্তি করা যেতে পারে? সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৪০০ কর্মদিবস কীভাবে পূরণ করা সম্ভব? ২৮ ডিসেম্বর, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফর্ম ফিলআপ এবং লেট ফি মিলিয়ে একজন আবেদনকারীকে ৩ হাজার টাকা দিতে হবে। এক্ষেত্রেও পর্ষদের বিরুদ্ধে অনেক বেশি টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তির একাংশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।
মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ২০২১-এর যে ভর্তি প্রক্রিয়া হওয়ার কথা, ২০২৩-এ এসেও তা কী করে চলতে পারে? আদালতে NCTE'র আইনজীবী জানান, D.El.Ed কোর্স সম্পূর্ন করার জন্য প্রতি বছর ২০০টি কর্মদিবস প্রয়োজন হয়। এছাড়াও মামলাকারীর আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, যেখানে ফর্ম ফিলআপের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের ৩০০ টাকা এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা লাগার কথা, সেটা অনেক বেশি, ৩ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: Malda News: মালদায় বিজেপিতে ফাটল, শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই দলত্যাগ