Kangchenjunga: সমতলের মেঘমুক্ত আকাশের ক্যানভাসে ধরা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা, উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়িবাসী
সমতল থেকেই চোখ মেলেই কাঞ্চন-দর্শন।
মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি : রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া থাকলে দার্জিলিং বা সিকিম থেকে এই দৃশ্য প্রায় রোজই দেখা যায়। কিন্তু, রবিবার নৈস্বর্গিক দৃশ্যের সাক্ষী রইল শিলিগুড়ি। আর সমতলের মেঘমুক্ত আকাশের ক্যানভাসে যে দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বসিত শিলিগুড়িবাসী। পাহাড় নয় এক্কেবারে সমতল থেকেই ধরা দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। সাতসকালে ঘুম ভেঙে ওঠার পরই ভোরে আকাশের দিকে চোখ যেতেই অবাক বাসিন্দারা। সমতল থেকেই চোখ মেলেই কাঞ্চন-দর্শন। যে দৃশ্য দেখে মুহূর্তে মুঠোফোনে অনেকেই ধরে রাখেন দুধ-সাদা শিখরচূড়াকে।
রবিবারের সাতসকালেই অনন্য দৃশ্যের সাক্ষী হন শিলিগুড়িবাসী। একঝলক দেখে মনে হতে পারে যেন মেঘমুক্ত আকাশের ক্যানভাসে কেউ যেন পাহাড় এঁকে দিয়ে গিয়েছে। দৃশ্য দেখে অনেকেই থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন রাস্তায়। অবাক নয়নে কাঞ্চন-দর্শন উপভোগের সঙ্গেই মুঠোফোনো তা আবদ্ধ করে প্রিয়জনদের কাছেও সেই দৃশ্য পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে যায়।
দেখুন ছবিতে- শিলিগুড়ি থেকেই দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার! চোখের সামনে গিরিশৃঙ্গ দেখে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী
এদিন, শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন উড়ালপুল, মহানন্দা সেতু, নানা জায়গা থেকে এদিন দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। এমনিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা ও শিলিগুড়ি শহরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। তবুও ২৮ হাজার ১৬৯ ফুট উঁচু এই পর্বতশঙ্গ এদিন দেখা যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দূষণমুক্ত পরিবেশ ও রৌদ্রজ্জ্বল আকাশের জেরেই এমনটা হয়েছে। এমনিতে হিমালয় যেন মৌন ঋষির মতো মগ্ন ধ্যানে। চাইলেই যেন ছুঁয়ে দেখা যায় পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। কথা বলা যায় কানে কানে। কিন্তু সমতলবাসীকে এভাবে সহজেই ধরা দেওয়া খুব একটা সহজে হয় না।
এদিকে উত্তরবঙ্গে যখন পরিষ্কার আকাশ তখন রবিবার ও সোমবার ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরে কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পুরুলিয়া জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।