Kolkata News : এক ঘরে ঝুলছে প্রৌঢ়ের দেহ, অন্য ঘরে স্ত্রী-র ! ট্যাংরার পর ফের গা-শিউরে ওঠা ঘটনা কলকাতায়
সুইসাইড নোটের লেখা কি ওই প্রৌঢ় দম্পতিরই কারও? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র ?

হিন্দোল দে, কলকাতা : ট্যাংরার পর আবারও এক গা শিউরে ওঠা ঘটনা শহরে। শহরে দম্পতির রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব যাদবপুর থানার মুকুন্দপুর এলাকায়।
মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ফ্ল্যাটে পৌঁছে দম্পতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাইনিং হলে ফ্ল্যান থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল ছেষট্টি বছরের দুলাল পালের দেহ। বেডরুমে ফ্যান থেকে ঝুলছিল তিপান্ন বছরের রেখা পালের দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। তাতে লেখা আছে,'ছেলে ও ছেলের বউয়ের অত্যাচারে এই সিদ্ধান্ত নিলাম। চিরকুটে কারও সই না নাম লেখা নেই। ' তাই এই লেখা কি ওই প্রৌঢ় দম্পতিরই কারও? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র ? তদন্ত চলবে।
ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না দম্পতির ছেলে ও বউমা। মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, দাদা ও বউদি তাঁর বাবা-মায়ের ওপর অত্যাচার চালাতেন। হয় তাঁরাই খুন করেছেন অথবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছেন। আত্মহত্যা নাকি খুন, নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় পুলিশ।
গড়িয়াতেও অনুরূপ ঘটনা
দিনকতক আগেই গড়িয়ার আদর্শনগরে এক দম্পতির রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় । ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দু’জনের দেহ। বছর ৪৫-এর তরুণ দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্ত্রী আশার দেহ বিছানায় পড়েছিল। বছর ৩৫-এর মহিলার গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে ছিল না। প্রতিবেশীদের দাবি, আগের দিন দুপুরেও দম্পতির আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখেননি। স্ত্রীকে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের অনুমান। কী কারণে মৃত্যু, খতিয়ে দেখছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
ট্যাংরার ঘটনা
গত মাসেই এই শহরে ঘটে যায় হাড়হিম করা একটি ঘটনা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে বাইপাসে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে প্রসূন ও প্রণয় দে-র গাড়ি। গাড়িতে ছিলেন এক ভাইয়ের নাবালক ছেলেও। তাঁদের কথার সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে ভয়াবহ খুনের কথা। ট্যাংরায় তাঁদের বাড়িতে পাওয়া যায়, হাত ও গলা কাটা অবস্থায় দুই বধূ রোমি ও সুদেষ্ণার দেহ ও বাড়ির ছোট মেয়ে প্রিয়ম্বদার দেহ। পরি জিজ্ঞসাবাদে দে-ভাইদের মধ্যে কনিষ্ঠ জানান, বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে যে তিনিই খুন করেছিলেন, তা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আগেই স্বীকার করেন প্রসূন দে।






















