Congress Protest: পুলিশ হেফাজতে মৃত্য়ু-তরজা, প্রতিবাদ সভা কংগ্রেসের
কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজবংশী যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগে যখন সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পুলিশ হেফাজতে গড়িয়ার (Garia) যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ সভা করল কংগ্রেস (Congress)। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা বলে, কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। যুবকের মৃত্যুর তদন্তে আজ নরেন্দ্রপুর থানায় (Narendrapur Police Station) আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের সদস্যরা।
কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে রাজবংশী যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগে যখন সরগরম হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তখন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনীতির পারদ।
মৃত যুবকের নাম সুরজিৎ সর্দার ওরফে সাহেব। তিনি প্রয়াত এক কংগ্রেস কর্মীর ছেলে। পরিবারের দাবি, ১৩ এপ্রিল দুপুরে, সুরজিতকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ২ দফায় ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর, আরও টাকা দাবি করা হয়। দাবি মতো টাকা দিতে না পারার ফলেই সুরজিৎতে মিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার গড়িয়ায় প্রতিবাদ সভা করে, সুর চড়িয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, উচ্চপার্যায়ের তদন্ত করতে হবে, অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার, যুবক মৃত্যুর তদন্তে নরেন্দ্রপুর থানায় আসে জাতীয় তফশিলি কমিশন। নরেন্দ্রপুর থানার IC এবং বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় তফশিলি কমিশন সদস্যরা। এর পর, মৃতের বাড়িতেও যায় তারা। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন,ওরা (জাতীয় তফশিলি কমিশন) এসেছিলেন, আমদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা ইতিমধ্যেই একটা রিপোর্ট দিয়েছি। আরও কিছু তথ্য আমাদের কাছে চাওয়া হয়েছে।
জায়গায় জায়গায় অবরোধ, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, স্লোগান-শাউটিং-পিকেটিং, সরকারি অফিসে ইটবৃষ্টি, জোর করে দোকানপাট বন্ধ করা, পুলিশের লাঠিচার্জ, বিজেপি কর্মীর গ্রেফতারি, বিজেপি বিধায়কের হুঁশিয়ারি।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা। বনধ সফল করতে এদিন সকাল থেকে পথে নামেন বিজেপি কর্মীরা। তৈরি ছিল পুলিশও।
বলাইপণ্ডা বাজারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। জোর খাটিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট। পটাশপুরের ট্য়াপার পাড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। লাঠিচার্জ করে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।
ময়নাতেও তিন মাথার মোড়, অন্নপূর্ণা বাজারেও অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ বাহিনী। বেলার দিকে ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা পথে নামেন। বাজার থেকে সরকারি অফিসে ঢুকে ঢুকে সব বন্ধ করার আবেদন জানাতে শোনা যায় বিজেপি বিধায়ককে।
এরপর ময়নায় কৃষি সমবায় অফিসে পৌঁছে যান বিধায়ক! সেই সময় ইট ছুড়ে মারেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা যখন ময়নায় বনধ সফল করতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন পাঁশকুড়া-র রাতুলিয়া বাজারে বনধের সমর্থনে অবরোধে সামিল হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতি হত্যাকাণ্ড ঘিরে রাজনীতি নতুন মাত্রা পেল বুধবারের বনধ-অবরোধে।
হেফাজতে