Debangshu attacks Suvendu : "নিজের বেলায় আঁটিশুঁটি, পরের বেলায় দাঁতকপাটি ?" আলোকরানির-নাগরিকত্ব ইস্যুতে শুভেন্দুকে পাল্টা দেবাংশুর
Alokrani Sarkar's citizenship issue : বনগাঁর তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকারের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে কলকাতা হাইকোর্টে।
কলকাতা : বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের বাংলাদেশ-নাগরিকত্ব ইস্যুতে তৃণমূলকে ট্যুইটারে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার পাল্টা তাঁকে জবাব দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। "শুভেন্দুবাবু, এই আলোরানি সরকারকেই তো আপনার দল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল।" ট্যুইটারে ঠিক এই ভাষাতেই বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা নিশানা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র ।
শুভেন্দু বাবু, এই আলোরানী সরকারকেই তো আপনার দল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বিজপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল। আপনাদের দলীয় প্রতীকে তিনি ১১% শতাংশ ভোটও দিয়েছিলেন! তখন তাঁর নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়নি কেন? নাকি নিজের বেলায় আটিশুটি, পরের বেলায় দাঁতকপাটি?
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) May 21, 2022">
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকারের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ হয়ে গেছে কলকাতা হাইকোর্টে। আলোরানি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। গত বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। কিন্তু, বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২ হাজার ৪ ভোটে পরাজিত হন তিনি। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলাতেই এদিন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের। তাই নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না তিনি। এই অবস্থায় তৃণমূল নেত্রীর নাগরিকত্বের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে নিজেকে এদেশের নাগরিক দাবি করে, এ বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন বলে জানিয়েছেন আলোরানি সরকার।
বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকায়, বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নির্বাচনী পিটিশন খারিজের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধানের ২৯-এ ধারার ৫ নম্বর উপ ধারা অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বিধি লঙ্ঘন করেছে। একজন বিদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তারা দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি নষ্টের চেষ্টা করেছে। এ ধরনের রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন কি বাতিল করা উচিত নয় ? বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের বাংলাদেশ-নাগরিকত্ব ইস্যুতে ট্যুইটে এভাবেই তৃণমূলকে খোঁচা দেন শুভেন্দু অধিকারী।
তার জবাবে পাল্টা ট্যুইট তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যর। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, শুভেন্দুবাবু, এই আলোরানি সরকারকেই তো আপনার দল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল। আপনাদের দলীয় প্রতীকে তিনি ১১% ভোটও দিয়েছিলেন। তখন তাঁর নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়নি কেন নাকি নিজের বেলায় আঁটিশুঁটি, পরের বেলায় দাঁতকপাটি।