![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Defamatory Cartoon Case: বার বার রং বদলেছেন কার্টুন-চরিত্ররা, মামলার দাগ মুছতে ১১ বছর লাগল অম্বিকেশের
Ambikesh Mahapatra: পেশায় অধ্য়াপক। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র পড়ান। কিন্তু, সেই অম্বিকেশ মহাপাত্রকে রাত কাটাতে হয়েছিল পুলিশ লকআপে।
![Defamatory Cartoon Case: বার বার রং বদলেছেন কার্টুন-চরিত্ররা, মামলার দাগ মুছতে ১১ বছর লাগল অম্বিকেশের Defamatory Cartoon Case as Ambikesh Mahapatra gets relief get to know what Mukul Roy and Dinesh Trivedi said about him Defamatory Cartoon Case: বার বার রং বদলেছেন কার্টুন-চরিত্ররা, মামলার দাগ মুছতে ১১ বছর লাগল অম্বিকেশের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/01/21/7697b9ad01a68351689fc7e718a01b8a1674272930200338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: তাঁদের ছবি দেওয়া কার্টুন নিয়েই দেখা দিয়েছিল বিতর্ক। গ্রেফতার হতে হয়েছিল অম্বিকেশ মহাপাত্রকে (Ambikesh Mahapatra)। এই নিয়ে আগে কী বলেছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং দীনেশ ত্রিবেদী (Dinesh Trivedi), অম্বিকেশ মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর কী বললেন মুকুল রায়, জেনে নিন (Defamatory Cartoon Case)।
১১ বছর ধরে রাজনৈতিক কার্টুন ই-মেলে ফরওয়ার্ড করার খেসারত দিলেন অম্বিকেশ!
পেশায় অধ্য়াপক। বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র পড়ান। কিন্তু, সেই অম্বিকেশ মহাপাত্রকে রাত কাটাতে হয়েছিল পুলিশ লকআপে। জামিনের জন্য় যেতে হয়েছিল আদালতে। সেখানেই শেষ নয়। তারপর ১১টা বছর মামলার বোঝা বয়ে বেড়াতে হয়েছে। আর এতকিছু, এই একটা ব্য়ঙ্গচিত্র ফরওয়ার্ড করার জন্য়।
২০১২ সালে রেলের ভাড়া বাড়ানোয়, তৎকালীন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। সেই জায়গায় মুকুল রায়কে দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই সংক্রান্ত একটি মিম ফরওয়ার্ড করার খেসারত ১১ বছর ধরে দিতে হয়েছে অম্বিকেশ মহাপাত্রকে। আর এই মিমে যাঁদের ছবি ছিল, সেই মুকুল রায় ও দীনেশ ত্রিবেদী অবশ্য় ইতিমধ্য়ে দলও বদলে ফেলেছেন। মুকুল রায় ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
একুশের বিধানসভা ভোটের পর আবার মুকুল রায়কে তৃণমূল ভবনে দেখা যায়। অম্বিকেশকাণ্ডের সময় মুুকুল রায় দাবি করেছিলেন, এই ঘটনা রাজ্য় সরকারের অগোচরে হয়েছিল। সেই সময় এবিপি আনন্দে মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ঠএই কাজগুলি সবটাই সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর গোচরের বাইরে হয়। এই কাজগুলির কথা উনি কোথাও বলেননি।"
জানার পরও কেন মামলা তোলা হল না, প্রশ্ন করা হয়েছিল মুকুলকে। উত্তরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমরাও তো চেয়েছি নন্দীগ্রাম মামলা উঠে যাক। তোলা হয়েছে কি?"মামলা নিষ্পত্তির পরও মুকুল রায় এনিয়ে কিছু বলতে চাননি। শুক্রবার অম্বিকেশের অব্যাহতি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে আবার মুকুল বলেন, "আদালতের বিষয়। এই নিয়ে আর কী বলব!"
২০২১-এ দীনেশও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় তিনিও অম্বিকেশের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "অনেক সময় অহঙ্কার হয়ে যায়। রাবণ...যেখানে অহঙ্কার, সেখানেই পতন। যারা বাইরে থেকে দলে এসেছে, যারা দলের আদর্শ না মেনে চলে আসে, তাতেই দলের আত্মা থাকে না।"
মুকুল-দীনেশ, দু'জনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যান, পরে আবার তৃণমূলে ফেরেন মুকুল
তবে মুকুলই হোন বা দীনেশ, অম্বিকেশের শেয়ার করা মিমের চরিত্ররা রাজনীতির রং বদলেছেন। কিন্তু, অধ্য়াপক অম্বিকেশের গায়ে যে মামলার দাগ লেগেছিল, তা মুছতে লেগে গেল দীর্ঘ ১১টি বছর।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)