Diagnostic Centre Worker Death: বচসা থেকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগ, 'খুন' বিষ্ণুপুরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
South 24 Parganas: জয়নগরের অশান্তির পর ফের শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সেন্টারেরই এক কর্মী।
গৌতম মণ্ডল, বিষ্ণুপুর: জয়নগরের (Joynagar Incident) অশান্তির পর ফের শিরোনামে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas News), এবার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে (Diagnostic Centre Worker Death) খুনের অভিযোগে গ্রেফতার সেন্টারেরই এক কর্মী। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নিহতের নাম অনুপ দা। অভিযুক্ত সন্দেহে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম সুনাম পাল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, দুজনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করত। দুজনের মধ্যে বচসা হয়। অভিযোগ, বচসার জেরেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা এক কর্মীর অন্যের উপর হামলা চালায়।
যা জানা গেল...
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দু'জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। অভিযুক্তের দাবি, নিহত কর্মী তাকে নানা ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা বলতেন। মঙ্গলবারও সে রকমই বচসা লাগে। সম্ভবত, বার বার বচসার পর ধারাল অস্ত্র এনে রেখেছিল অভিযুক্ত। এদিন ঝামেলা হলে সেটি নিয়ে হামলা চালায়, অনুমান তদন্তকারীদের। তবে, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অভিযুক্ত কর্মীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সূত্রে খবর, বিষ্ণুপুরের যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে তার একেবারে কাছে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তিনিই ফোনে পুলিশকে বিষয়টি জানান, জানা গিয়েছে সে কথাও। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। আচমকা এমন ঘটনা ঘটনায় তীব্র আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের অনেকেই হতভম্ব। গত কাল দক্ষিণ ২৪ পরগনারই জয়নগরে প্রথমে তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ ও তার পর পাল্টা হামলার দাবি ঘিরে তুমুল আলোড়ন হয়েছিল। তার জের আজও জারি ছিল। তার মধ্যে আবার একই জেলায় আর এক হত্যার অভিযোগ।
ফেরা হচ্ছে না...
অন্য দিকে, দলুয়াখাকিতে গত কাল যে তাণ্ডব চলেছে, তার পর আজ দুপুরে সিপিএম নেতাদের সঙ্গেই ফেরার জন্য গ্রামের দিকে গিয়েছিলেন ঘরছাড়া বাসিন্দারা। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। ঠেলাঠেলিও করা হয়েছে বলে দাবি। শেষমেশ বাসিন্দারা থানায় গিয়েছিলেন আজ। এই টানাপড়েনের মধ্যে সন্ধে নেমে পড়ায় আজকের মতো ঘরছাড়াদের ফেরানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার কথা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, এমনিতেই আগুনের গ্রাসে বাসিন্দাদের অনেকেরই ঘরদোরের প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সিপিএমের তরফে তাঁদের কিছু ত্রিপল-ইত্যাদির ব্যবস্থা করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সন্ধের অন্ধকারে সে সব কতটা ঠিকঠাক কাজে লাগানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তাই আজ আর ফেরা হচ্ছে না ঘরছাড়াদের।
আরও পড়ুন:পেট্রোলের দর বাড়ল আগ্রা থেকে আজমিরে, কী দাম কলকাতায়?