Dilip Ghosh: 'পয়সা হয়তো আসছে না, তাই বন্ধ হুক্কা বার', রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলীপের
Dilip on Hookah Bar Close: শহরের সব হুক্কাবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র জানিয়ে দেন, "হুক্কাবারের আর লাইসেন্স দেব না। যাদের দিয়েছি, তাঁদের ক্যানসেল করে দেওয়া হবে।"
রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: শহরের সমস্ত হুক্কা বার (Hookah Bar) বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহারের অভিযোগ আসছে। ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক। অভিযোগ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে হুক্কাবার বন্ধের বিজ্ঞপ্তি। এ বার এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি এদিন নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে এসে বলেন, "শুধু হুক্কা বার কেন? ওয়াইনবার গুলো বন্ধ হবে না? হুক্কাবার থেকে কী দুষ্কর্ম ছড়াচ্ছে জানিনা। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় ঠেক খুলে দিয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে মারপিট। পাড়ায় পাড়ায় মারপিট। কারণ ওয়াইন বার থেকে পয়সা আসছে। হুক্কাবার থেকে আসছে না হয়তো। তাই বন্ধ করে দিচ্ছেন।"
প্রসঙ্গত, শহরের সব হুক্কাবার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র জানিয়ে দেন, "হুক্কাবারের আর লাইসেন্স দেব না। যাদের দিয়েছি, তাঁদের ক্যানসেল করে দেওয়া হবে। নতুন করে আর লাইসেন্স দেওয়া হবে না।"
আরও পড়ুন, 'স্কুলের চাকরি না মিউজিক্যাল চেয়ার?' শূন্যপদের থেকে বেশি সংখ্যক প্রার্থীর কাছে পৌঁছেছিল নিয়োগপত্র!
অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। সঙ্গে ধোঁয়ায় সুখটান! গত কয়েক বছরে কলকাতার একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছিল হুক্কা বার। এবার সেগুলিই বন্ধ করে দেওয়ার পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু কেন? মেয়রের দাবি, খারাপ রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে শরীরে ক্ষতি হচ্ছে।
এমনকি, হুক্কার সঙ্গে নেশার সামগ্রী মেশানো হচ্ছে বলেও, অভিযোগ আসছে। ফিরহাদ হাকিম এও বলেন, "এই রেস্ট্রুরেন্টে খারাপ জিনিস হচ্ছে। যে কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে সেই ধোয়াটা হেলথের পক্ষে ক্ষতিকর। আমার কাছে প্রমাণ নেই, তবে অভিযোগ উঠছে কোথাও কোথাও নেশার জিনিস মেশানো হয়েছে। যাতে বারবার যেতে বাধ্য হচ্ছে।" যার জেরে হুক্কা বার বন্ধের সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
যদিও দিলীপ ঘোষ বলেন , "পুরসভা মনে করেছে করছে ঠিক আছে। কিন্তু মদের দোকান খুলে দিচ্ছে, এটাতে মনে হচ্ছে না যে এটাতে সমাজ নষ্ট হচ্ছে?" সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "নেশার বিরুদ্ধে। তবে দেখতে হবে হুক্কা যেন আবার দুয়ারে না চলে যায়। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বলেছেন সিগারেট খান।" হুক্কা বার বন্ধে নজরদারি চালাতে পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছেন মেয়র।