Dilip Ghosh: বেসরকারি স্কুল থেকে কাটমানি নেন তৃণমূল নেতারা! বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
বেসরকারি স্কুল থেকে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ।

কলকাতা: বেসরকারি স্কুল থেকেও তৃণমূল নেতাদের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বেতন দেওয়ার ঝামেলা নেই, উল্টে কাটমানি নেওয়া হয় বলে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি সাংসদের। পাল্টা মন্তব্য তৃণমূলের তরফেও।
কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ: বেসরকারি স্কুল থেকে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ। বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি সেদিন মেদিনীপুরে একটা স্কুলে গেলাম। টিটার কজন? ৩ টে টিচার আছে। আপনি বলুন, ৩ জন টিচার কি সাড়ে চারশো স্টুডেন্টকে পড়াতে পারে? স্কুলগুলো তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর এখানে বড় বড় প্রাইভেট স্কুল হচ্ছে।’’
গত কয়েক বছরে, রাজ্যে একাধিক সরকারি স্কুলের গেটে পড়েছে তালা। কোথাও নেই পড়ুয়া, কোথাও শিক্ষকের অভাব। রাজ্যে বহু স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩০ এর নিচে। শুধু কলকাতা শহরেই একাধিক প্রাথমিক স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে। সরকারি স্কুলের এমন বেহাল দশা কয়েকটি জেলার পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট। কেতুগ্রামের গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়, স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় বন্ধের মুখে স্কুল। পূর্বস্থলীর পাটুলি গার্লস হাইস্কুল, পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করেন অন্য স্কুলের শিক্ষক, কারণ, ১২ বছর এই স্কুলে নেই অঙ্কের শিক্ষক। পূর্ব বর্ধমানের সাবিত্রী বালিকা বিদ্যালয়, স্কুলে অঙ্কের ক্লাস নেন ক্লার্ক। পড়ুয়ার অভাবে কয়েকমাস আগেই বন্ধ হয়েছে সাগরের মায়াপুর জুনিয়র হাইস্কুল। শিক্ষাবিদদের একাংশের মতে, সরকারি স্কুলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ছবি হওয়ায়, বেসরকারি স্কুলের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের।
এদিকে, বেসরকারি নামী স্কুলের আকাশছোঁয়া খরচে নাভিঃশ্বাস উঠছে অভিভাবকদের। এখানেও, বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, “এক একটা স্কুল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নেয় তৃণমূলের নেতারা। যত বড় বড় স্কুল আছে।’’শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগে এমনিতেই জেরবার তৃণমূল সরকার। তার ওপর এবার বেসরকারি স্কুল থেকে তৃণমূলের কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন: Walking Tips: হেঁটে-দৌড়ে ঝরাতে চান অতিরিক্ত মেদ? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো






















