Durga Puja 2022: 'কোথা থেকে এই টাকা দিচ্ছে সরকার'? দুর্গাপুজোয় ক্লাবকে অনুদান ইস্যুতে হাইকোর্টে চতুর্থ মামলা
বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের ঘোষণা, ঘরোয়া পরিষেবার ক্ষেত্রেও দেওয়া হোক। এমনই একাধিক দাবিতে হাইকোর্টে পুজোর অনুদান নিয়ে চতুর্থ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কলকাতা: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) জন্য ক্লাবকে অনুদান, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চতুর্থ জনস্বার্থ মামলা। ‘রাজ্য বাজেটে এই অনুদানের জন্য কি কোনও বরাদ্দ ছিল? না থাকলে, কোথা থেকে এই টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের ঘোষণা, ঘরোয়া পরিষেবার ক্ষেত্রেও দেওয়া হোক। এমনই একাধিক দাবিতে হাইকোর্টে পুজোর অনুদান নিয়ে চতুর্থ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৬০ হাজার করে ৪৩ হাজার পুজো কমিটিতে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ক্লাবকে অনুদান দিতে রাজ্য কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ২৫৮ কোটি।
এবার রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) পুজো অনুদান বেড়ে হয়ছে ৬০ হাজার টাকা। ৪৩ হাজার পুজো কমিটি ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান পাবে। ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ( Cm Mamata Banerjee)। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাশপাশি এ বছর, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকছে সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি।
পুজো উদ্যোক্তাদের রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর উপহার! গতবছরের ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে এবার যোগ হল, আরও ১০ হাজার টাকা! এ বছর রাজ্য সরকারের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা করে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ছেন, ৪৩ হাজার পুজো কমিটি এই অর্থ অনুদান পাবে।
একটি বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমার ভাঁড়ার শূন্য। বলুন কত হাজার টাকা দেব? ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করলাম। রাজ্য সরকার এই ঘোষণা করা মাত্র তাদের একহাত নিয়েছে সিপিএম। তাদের প্রশ্ন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যেখানে দিতে পারছে না সরকার, যেখানে ঋণের বোঝা লাগাতার বেড়েই চলেছে, সেখানে শুধু রাজনৈতিক লাভের স্বার্থে অনুদানের ঘোষণা কেন?
সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলেও অতিরিক্ত ছাড় দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের শুরুতেই পুরনো একটি মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষও করেন তিনি।
গতবছরই UNESCO’র স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন UNESCO’কে ধন্যবাদ জানিয়ে ১ সেপ্টেম্বর জোড়াসাঁকো থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল হবে।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি কর্মীদের জন্য পুজোর ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।