West Bengal News: ঝাড়খণ্ডে টানার বৃষ্টির জের, ডিভিসির পর জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল দুর্গাপুর ব্যারাজও
Durgapur Barrage: ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা। আজও জল ছাড়া আরও উদ্বেগ বাড়চ্ছে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে টানার বৃষ্টির জের। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল পরিমাণ বাড়িয়েছে ডিভিসি। আর তার জেরে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল দুর্গাপুর ব্যারাজও (Durgapur Barrage)।
বাডল জল ছাড়ার পরিমাণ: জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা পর থেকে প্রায় ৯৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারাজের ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা। ঝাড়খণ্ডে টানা বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়ার একাধিক নদী ফুঁসছে। দুর্গাপুর ব্যারাজের ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির খানাকুল। মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল উপচে নতুন করে প্লাবিত একাধিক গ্রাম। পুজোর মুখে হঠাৎ বন্যায় সর্বস্বান্ত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কৃষকরা। আজও জল ছাড়া আরও উদ্বেগ বাড়চ্ছে।
বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের ভাদুল এলাকায় চাষের জমি গিলে খাচ্ছে দ্বারকেশ্বর। জল আর জনপদের দূরত্ব মাত্র ৩০ ফুট। ভিটে হারানোর আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। উদ্বেগ বাড়িয়ে সেচ দফতর জানিয়েছে, মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। এর ফলে বাঁকুড়ার একাংশ ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, হুগলির গোঘাট, খানাকুল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।সোনামুখী ব্লকের সমিতিমানা এলাকায় জলের তলায় বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি। পুজোর মুখে লোকসানের আশঙ্কায় মাথায় হাত কৃষকদের।মেজিয়ায় কজওয়ের ওপর দিয়ে বইছে জল। মেজিয়া-ছাতনা রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ। DVC-র পণ্যবাহী রেললাইন ধরে বিপজ্জনকভাবে যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।
DVC-র ছাড়া জলে দামোদরের বাঁধ উপছে মঙ্গলবার রাত থেকে করে জল ঢোকে শুরু করে একের পর এক গ্রামে। প্লাবিত হয় কমপক্ষে ১৫টি গ্রাম। উদয়নারায়ণপুরের টোকাপুর, জঙ্গলপাড়া, শিবানীপুর, আকনা, ঠাকুরানিচক, কুরচি শিবপুর, ঘোলা-সহ একাধিক গ্রামে কৃষিজমি, রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি জলের তলায় চলে যায়। ধান, আলু এবং সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিকে গতকাল এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিযোগ, তিনদিন ধরে জলবন্দি। বন্যার জলই খেতে হচ্ছে। খাবার নেই, ত্রাণ মেলেনি, কেউ খোঁজও নেয়নি। সাংসদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: North 24 Parganas Weather: মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা, হাওয়া বদলের পূর্বাভাস উত্তর ২৪ পরগনায়