Duttabad Case: দত্তাবাদকাণ্ডে BDO প্রশান্ত বর্মণের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর বারাসাত আদালতে
Duttabad News: মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা দত্তাবাদের দোকান ভাড়া নিয়ে সোনার দোকান চালাতেন। সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেই অপহরণ করে খুন করা হয় নিউটাউনে।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের মামলায় BDO প্রশান্ত বর্মনের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। BDO-র আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে বারাসাত আদালত। মূল চক্রী বিডিও-ই, মারধরের ফুটেজও আছে, কোর্টে দাবি সরকারি আইনজীবীর। BDO-র আগাম জামিনের শুনানিতে কোর্টে এই দাবি করেন সরকারি আইনজীবী। সওয়াল-জবাব শোনার পর BDO-র আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে বারাসাত আদালত।
দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় আরও জাল গোটাচ্ছে পুলিশ। স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে পুলিশের স্ক্যানারে অনেকদিন ধরেই রয়েছেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। জানা গিয়েছে, পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই এসেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে BDO-র 'মারধরের ফুটেজ'। রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মনই মূল অভিযুক্ত, দাবি পুলিশের। '২টি গাড়ি নিয়ে দত্তাবাদে পৌঁছেছিলেন BDO প্রশান্ত বর্মন। সোনার দোকানের সাইনবোর্ড থেকে নম্বর নেন BDO। প্রভাব খাটিয়ে আধার কার্ডের তথ্য থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মেদিনীপুরের ঠিকানা জোগাড়', রাজগঞ্জের BDO-র বিরুদ্ধে কোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের।
পুলিশের আরও দাবি, 'স্বর্ণ ব্যবসায়ীর শরীরে মিলেছে ৩২টি আঘাতের চিহ্ন'। দত্তবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার হওয়া ১ জনের মোবাইলের ভিডিওতে চাঞ্চল্যকর ফুটেজও পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। বেল্ট ও জুতো দিয়ে রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মণ দত্তাবাদের ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধর করছেন, এমন ছবি পুলিশের হাতে এসেছে বলে খবর সূত্রের। বিডিও-ই মূল অভিযুক্ত, তদন্তের স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাঁর গ্রেফতারি, আদালতে দাবি সরকারি আইনজীবীর। বারাসাত আদালতে BDO-র আগাম জামিনের শুনানিতে কোর্টে দাবি সরকারি আইনজীবীর। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের আগাম জামিনের আবেদন করেছে বারাসাত আদালত। এর আগে যবে থেকে এই বিডিও- র নাম জড়িয়েছে দত্তাবাদকাণ্ডে, ততবারই তিনি দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা দত্তাবাদের দোকান ভাড়া নিয়ে সোনার দোকান চালাতেন। সেই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেই অপহরণ করে খুন করা হয় নিউটাউনে। গত ২৮ অক্টোবর, দত্তাবাদ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ২টি গাড়িতে করে আসেন কয়েকজন। একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি ছিল বলেও খবর পুলিশ সূত্রে। এরপর ৩০ অক্টোবর, নিউটাউন থেকে স্বপন কামিল্যার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে বেধড়ক মারধর করা হয় স্বপন কামিল্যাকে। পুলিশের অনুমান, মারের চোটেই মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর। এরপর গাড়িতে করে দেহ ফেলে রেখে আসা হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ।























