Kalna: কবির জুতো চুরি করেছেন পুরসভার উপপ্রধান? একের পর এক মামলায় হুলস্থুল কালনায়!
Kalna Shoe Allegation: মনোরঞ্জনের দাবি, আসর থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন তাঁর জুতোজোড়া উধাও। ক'দিন পর দেখেন, সেই জুতো পরে হেঁটে যাচ্ছেন সিদ্ধেশ্বর আচার্য

রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: যতকাণ্ড একজোড়া জুতোকে কেন্দ্র করে। কখনও চুরির অভিযোগ, কখনও মানহারির, ৭ বছর ধরে চলছে মামলা। এমন আজব ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।
বিতর্কের কেন্দ্রে এক জোড়া চামড়ার জুতো। যার দাম ৩২৫ টাকা। সেই জুতো নিয়েই ৭ বছর ধরে চলছে চুরি থেকে মানহানি- একের পর এক মামলা। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কালনা। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৫ সালে।
কালনার বাসিন্দা মনোরঞ্জন সাহা এবং তৎকালীন সিপিএম পরিচালিত কালনা পুরসভার উপ পুরপ্রধান সিদ্ধেশ্বর আচার্য গিয়েছিলেন কবিতা পাঠের আসরে।
মনোরঞ্জনের দাবি, আসর থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন তাঁর জুতোজোড়া উধাও। ক'দিন পর দেখেন, সেই জুতো পরে হেঁটে যাচ্ছেন সিদ্ধেশ্বর আচার্য। জুতো ফেরত চাইলে শুরু হয় বাগ্বিতণ্ডা। এরপরই জুতো চুরি নিয়ে সিদ্ধেশ্বরকে খোঁচা দিয়ে একটি ছড়া লেখেন মনোরঞ্জন। সেই ছড়া দেখে তো খেপে আগুন হয়ে ওঠেন সিদ্ধেশ্বর আচার্য। মানহানির মামলা ঠুকে দেন। পাল্টা চুরির মামলা দায়ের করেন মনোরঞ্জনও।
আরও পড়ুন, 'দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে মমতার', সাক্ষাৎকারে মন্তব্য অমর্ত্য সেনের
কালনার এই অভিযোগকারীর বক্তব্য, "সাহিত্য পাঠ থেকে বেরোলাম, দেখলাম আমার জুতো নেই। পরে দেখি প্রাক্তন উপপ্রধন আমার জুতো পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন আদালতে কেস হয়ছে। অনেক খরচা হচ্ছে, দরকারে বাড়ি বিক্রি করে মামলা চালাব। অন্যদিকে, সিদ্ধেশ্বর আচার্য বলেন, "কবি সভা থেকে বেরোনোর সময় দেখি আমার জুতোর বদলে অন্য জুতো পড়ে আছে। সহকর্মীরা বলে ওই জুতোটাই পরে যাও, পরে এসে ফিরে যাবে। ২দিন পর যখন আমার জুতো পরে আমরা বেরই, তখন মনোরঞ্জন এসে বলে এটা আমার জুতো। তুই জুতো চুরি করেছিস। তুই জুতো চোর। থানায় লিখিত অভিযোগ, প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান হয়ে আমি জুতো চুরি করব?"
এমন মামলা আগে দেখেননি বলছেন খোদ অভিযোগকারীর আইনজীবী।






















