Bad Road Controversy: হাঁটু সমান কাদাজল ঠেলে শ্মশানে দেহ সৎকার, এবার খণ্ডঘোষের ভিডিও ভাইরাল
East Burdwan News: এবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে বেহাল রাস্তার ছবি। হাঁটু সমান কাদাজল ঠেলে শ্মশানে দেহ সৎকার করতে গেলেন আত্মীয়রা।

কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: খণ্ডঘোষেও বেহাল রাস্তা। হাঁটু সমান কাদাজল ঠেলে শ্মশানে দেহ সৎকার করতে যাওয়ার ছবি ভাইরাল। খারাপ রাস্তার জন্য মৃত্যুর পরদিন সৎকারের জন্য, দেহ বার করতে হয় বলে অভিযোগ।
এবার পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে বেহাল রাস্তার ছবি। হাঁটু সমান কাদাজল ঠেলে শ্মশানে দেহ সৎকার করতে গেলেন আত্মীয়রা। সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া পঞ্চায়েতের ইন্দুটি গ্রাম। শ্মশান পর্যন্ত ৮০০ মিটার রাস্তা বেহাল। বৃষ্টিতে রাস্তার আরও শোচনীয় দশা। অভিযোগ, শনিবার এক ব্যক্তির মৃত্যু হলেও, খারাপ রাস্তার জন্য তাঁর দেহ সৎকার হয় রবিবার সকালে। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের এই ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে। খবর জানাজানি হতেই, দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের সভাপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে গিয়ে, সার্ভে করে নিয়ে এসে, রিপোর্ট জমা করতে। জেলা পরিষদের থেকে খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজটা আমরা সম্পন্ন করব, আশা রাখছি।''
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার এই রাস্তা বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বর্ষার জল জমে তাই হয়ে উঠেছে আরও ভয়ঙ্কর। শনিবার সন্ধেয় এই গ্রামেই মৃত্যু হয় এক বাসিন্দার। কিন্তু, রাস্তার বেহাল দশার কথা মাথায় রেখে, সারারাত দেহ গ্রামে রেখে পরেরদিন সকালে তা সৎকারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঁধে মৃতদেহ চাপিয়ে, এক হাঁটু কাদাজল পেরিয়ে যাওয়ার, সেই ছবিই মুহূর্তে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে তৃণমূলকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিরোধী শিবির। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য বিনোদ ঘোষ বলেন, "২০২৫ সাল। যে কসমেটিক উন্নয়নের কথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তার ঢক্কানিনাদ প্রচারের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার বাস্তব পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ। আসলে এই সরকারের আমলে গ্রামীণ মানুষের প্রতি অবহেলাকেই বোঝায়।'' বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্ব বলছেন, তাঁরা ৯৯ শতাংশ উন্নয়ন করে দিয়েছেন। ৯৯ শতাংশ উন্নয়নের এটা হচ্ছে একটা চিত্র। রাস্তার কোনও উন্নতি হয়নি। এরা কোটি কোটি টাকা কাটমানি খেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের উন্নতি হয়েছে।''
এদিকে বর্ষায় বেহাল রাস্তা ও জমা জল নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন হুঁশিয়ারি দেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা ঠিক করার বিষয়ে পদক্ষেপ না করা হলে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ। সমস্ত জেলা পরিষদ এবং পূর্ত দফতর কাজ না করলে, আদালতকেই কিছু করতে হবে। বিচারপতি বলেন, "কলকাতার বিভিন্ন অংশ, তারাতলা থেকে বজবজের দিকের রাস্তাও খুব খারাপ। বিভিন্ন জেলার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, রোগীরা অত্যন্ত অসুবিধায় পড়ছেন। আমি দেখেছি কীভাবে রোগীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে হচ্ছে। জমা জল সরাতে খুব বেশি টাকা লাগবে না, পাম্প লাগান।''






















