East Burdwan News: হারিয়েছে হাঁটাচলার ক্ষমতা, গুজরাতে কাজে গিয়ে অত্যাচারের শিকার কালনার নাবালক
Kalna News Update: অভিযোগ, খাবার নষ্ট করায় দীর্ঘদিন ধরে তার উপর চলত অত্যাচার। মারধরের জেরে ঠিকমতো হাঁটার ক্ষমতাই হারিয়েছে সে।

রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: গুজরাতে কাজে গিয়ে মালিকের অত্যাচারের শিকার এক নাবালক। অভিযোগ, দিনের পর দিন মারধর করা হয় তাকে। বছর বারোর নাবালকের হাল এমন হয়েছে যে হাঁটাচলা করতেই পারছে না। গতকাল হাওড়া থেকে কালনায় বাড়িতে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। আপাতত কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নাবালক।
অত্যাচারের শিকার কালনার নাবালক: ভিন রাজ্যে সিটি গোল্ডের কাজে গিয়ে মালিকের হাতে অত্যাচারিত এক বালক। কালনা থানার অন্তর্গত উপলতি এলাকায় বাড়ি বছর বারোর ওই নাবালকের। বছর দুয়েক আগের পারিবারিক অর্থনৈতিক অনটনের কারণে গুজরাতের রাজকোটে, কালনার শিকারপুরের এক বাসিন্দা হাঁপান মল্লিকের সঙ্গে সিটি গোল্ডের কাজে যায়। অভিযুক্ত হাঁপান গুজরাতে তাঁর কাছে ছেলের মতন রাখবে ও কাজ শেখাব বলে নিয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ, গুজরাতে গিয়েই অত্যাচার শুরু করে দেয় ওই বালকের উপর। এমনকি বাড়িতে ঠিক মতন কথাও বলতে দিত না। অভিযোগ, খাবার নষ্ট করায় দীর্ঘদিন ধরে তার উপর চলত অত্যাচার। মারধরের জেরে ঠিকমতো হাঁটার ক্ষমতাই হারিয়েছে সে। অত্যাচার এমনই চরম পর্যায়ে পৌঁছেয় যে গলায় ঘা পর্যন্ত হয়ে গেছে তার। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এক যুবকের মাধ্যমে তাকে হাওড়া পাঠিয়ে দেয় কারখানার মালিক।
গতকাল এক যুবকের সাহায্যে হাওড়া পৌঁছয় সে আহত বালক, তকে হাওড়া থেকে নিজেদের বাড়ি নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকেরা। শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। ইতিমধ্যে পুলিশ এবং মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক। পুলিশ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে মালিকের সঙ্গে। অত্যাচারিত বালকের মা পূর্ণিমা দুর্লভ ও তার বাবা বিশ্বনাথ দুর্লভ তারা জানান, অর্থনৈতিক অনটনের কারণে ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে এমন অত্যাচারিত হবে ভাবতে পারিনি। পুলিশকে বিষয়টা জানিয়েছি। অভিযুক্ত মালিকের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ওই নাবালকের মা বলেন, "ভাত দিয়েছে খেতে। সেটা নষ্ট করেছে বলে মেরেছে। প্রত্যেকদিনই ওই ভাতের কারণে মারে। বাচ্চাটা কোনওদিন জানাত না। তিন মাস পর পর ফোন করত। লোহার রড দিয়ে মেরেছে।''
এদিকে মহেশতলায় মোবাইল চুরির অপবাদে নাবালককে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। নাবালককে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে। বেধড়ক মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। মহেশতলার কারখানায় কাজ করত ইসলামপুরের বাসিন্দা নাবালক। ঘটনার পর থেকে খোঁজ নেই নাবালকের, দাবি পরিবারের। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিক্ষোভ-অবরোধ।






















