(Source: Poll of Polls)
East Midnapore News: মামলা তুলতে ধর্ষণের হুমকি পাঁশকুড়ার আত্মঘাতী ছাত্রের দিদিকে, অভিযোগ দায়ের পরিবারের
Panshkura Child Death Update: ২২ মে, চুরির অপবাদে নাবালকের আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর।

কলকাতা: চোর অপবাদের জেরে কিশোরের আত্মহত্য়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে গেছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। এবার অভিযোগ তুলতে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি, মেয়েকে ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মা। পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি।
ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে আগেই। এবার, অভিযোগ তুলতে বাড়িতে এসে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি, মেয়েকে ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মা। ২২ মে, চুরির অপবাদে নাবালকের আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পাঁশকুড়ার সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর রক্ষিতের দোকানে চিপস কিনতে যায় নাবালক। দোকানে গিয়ে মালিককে না পেয়ে, মাটিতে পড়ে থাকা চিপসের প্য়াকেট তুলে নেয় সে।
পরিবারের অভিযোগ, এরপরই মোটরবাইকে চেপে নাবালকের পিছু ধাওয়া করেন দোকান মালিক। মারধরের পাশাপাশি কান ধরে ওঠবসও করানো হয়। চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খায় নাবালক। চারদিন পর মৃত্যু হয় তার। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত নাবালকের মা। তার ভিত্তিতে মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। এবার মৃতার মায়ের অভিযোগ, বুধবার বাড়িতে এসে সেই অভিযোগ তোলার জন্য চাপ দেন কয়েকজন।
মৃত বালকের মায়ের অভিযোগ, "এসে হুমকি দিয়ে গেল যে আমি সিভিক ভলান্টিয়ারের নামে যে কেস করেছি, কেস তোলার জন্য। বললাম যে আমি কেস তুলতে পারছি না। আমারও সন্তান হারিয়েছে। কেস তোলার জন্য হুমকি দিয়েছে, টুকটাক কথা কাটাকাটি হয়েছে সবার সঙ্গে, হতে বলছে যে, কেস যদি না তোলো তোমার ছেলে তো মরে গেছে। মেয়ে আছে, মেয়েটাকেও আর জি করের ঘটনা করে দেব।'' এনিয়ে, পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রের মা। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার। পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি করেছেন তারা।
এদিকে কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে। ঘটনার পরের দিন গ্রেফতারির একঘণ্টা আগে বালিগঞ্জ স্টেশনের কাছে ফার্ন রোড একজনের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও জেব আহমেদ। ওই ব্যক্তি কে? কী কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তরা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, দু’জনের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে জানা গেছে, ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৬ জুন, সন্ধে ৬টা ২৫-এ ফার্ন রোডে কারও সঙ্গে দেখা করেছিলেন মনোজিৎ ও জেব। এর একঘণ্টা পর, সন্ধে ৭টা ২০ মিনিটে বোসপুকুরের তালবাগান এলাকা থেকে মনোজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৭টা ৩৫-এ ওই এলাকা থেকেই গ্রেফতার হন আরেক অভিযুক্ত জেব।























