East Midnapore: তালা ভেঙে লুঠ সর্বস্ব, সরকারি আবাসনে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
কীভাবে ডাকাতি তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটে বাড়িতে ঢুকে সমস্ত কিছু তালা ভেঙে তছনছ করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর: দিনে দুপুরে ভয়াবহ ডাকাতি সরকারি হাউজিংয়ে। খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায় ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরপর তিনটি ঘরে তালা ভেঙ্গে সর্বস্ব লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়েই এমন ঘটনা। কাঁথি মহকুমা শাসকের দফতরের লাগোয়া সরকারি ওই হাউজিংগুলি। ঘটনার খবর পেয়েই সরকারি আধিকারিকদের হাউসিং-এ পুলিশ পৌঁছেছে।
কীভাবে ডাকাতি তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটে বাড়িতে ঢুকে সমস্ত কিছু তালা ভেঙে তছনছ করে লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমন দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে কাফি এলাকায়। খোদ সরকারি আধিকারিকদের বাড়ি, যেভাবে ঘেরা টোপে থাকে, তাদের হাউসিং তার মধ্যে এমন ডাকাতি হলে সাধারণ মানুষের কি হবে? এনিয়েই নানা প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে একাধিক সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
কিছুদিন আগে বড়দিনের (Christmas 2023) সন্ধ্যায় মালদার (Malda) চাঁচলে (Chanchal) ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। গয়নার দোকানে সশস্ত্র ডাকাত দলের হামলা হয়। লুঠ করা হয় কয়েক লক্ষ টাকার গয়না । ডাকাতি করে পালানোর সময় ছোড়া হল গুলিও। ব্যারাকপুর, রানাঘাট, পুরুলিয়া, সোনারপুর, বর্ধমান, চাঁচল। রাজ্যজুড়ে একের পর এক ডাকাতি হয়ে চলায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।
প্রকাশ্যে আসে সোনার দোকানে (Jewellary Shop Robbery) ডাকাতির সময় সিসিটিভি ফুটেজ। ওই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হেলমেট পরে হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে ডাকাতরা। সোনার দোকানের কর্মীদের বন্দুকের নলের মুখে রেখে চলে দেদার লুঠতরাজ। শুধু তাই নয়, লুঠের পর পালানোর সময় গুলি ছোঁড়ে ডাকাতদল। সূত্রের খবর, পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোটা অপারেশন শেষ হয়। ২টো মোটরবাইকে করে ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। তাঁরা লুঠতরাজ চালানোর পর গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
এর আগে ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুঠ করে দুষ্কৃতীরা, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। এনিয়ে তদন্ত শুরু করে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ।
বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। এরপর সরাসরি শোওয়ার ঘরে ঢুকে পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব লুট করা হয়। মারধর করা হয় প্রাথমিক শিক্ষককে। পুলিশ সূত্রে খবর, ৮ থেকে ১০ জনের একটি দুষ্কৃতী দল হানা দিয়েছিল ওই বাড়িতে । দুষ্কৃতীরা চার ভরি সোনা, সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নগদ-সহ অনেক কিছু লুঠ করে বলে দাবি করা হয়।