Murder Case: গৃহবধূকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ি
East Midnapore Murder Case: গৃহবধূকে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে ওই গৃহবধুর শ্বশুরকে মারধর, মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: গৃহবধূকে খুন (Murder Case) করে রেললাইনে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে ওই গৃহবধুর শ্বশুরকে মারধর, মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। পাঁশকুড়া জিআরপি-তে (GRP) অভিযোগ দায়ের। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে রেলপুলিশ (Rail Police)।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার মেচেদা-পাঁশকুড়া রেললাইনের নারায়ণপাকুড়িয়া রেললাইনে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর রেলপুলিশ ওই মৃতদেহ উদ্বার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনা ঘটার ৪ দিন পর বাড়িতে মৃতদেহ পৌঁছালে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃত মহিলার বাপের বাড়ির পরিবার। ওই মৃত মহিলার বাড়ি নারায়ণপাকুড়িয়া উত্তর পাড়ার।মৃত মহিলার নাম কৃষ্ণা সামন্ত দিন্ডা (২৫)। এলাকাবাসীদের দাবি, ওই মহিলাকে খুন করে রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে মৃত কৃষ্ণা সামন্তর দিন্ডার স্বামী রবীন্দ্রনাথ দিন্ডা। যদিও রবীন্দ্রনাথ দিন্ডা এই মহূর্তে পলাতক। এলাকাবাসীদের দাবি, যতক্ষণ না পুলিশ, মৃত মহিলার স্বামীকে গ্রেপ্তার ও মৃতের সঠিক তদন্ত দাবি পূরণ না করে ততক্ষণ তারা এইভাবে বিক্ষোভ চালাবেন। মৃত মহিলার বাবার দাবি, তার মেয়েকে মেরেছেন তার জামাই। তাকে মারধর করে খুন করে তার মৃতদেহকে রেললাইনের ওপরে রেখে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিলেন তাই জামাই। মেয়ের শ্বশুর বাড়ির সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভের পাশাপাশি মহিলার শ্বশুরকেও মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন, রাজ্যে ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু, পুজোতে উদ্বেগ বাড়ল শহরে
অগাস্টের শুরুতেও একটি মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সম্পত্তির লোভে ভাসুর ও ননদের হাতে খুন গৃহবধূ খুনের ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত মালিগ্রাম অঞ্চলের ঘুসুম পুকুর এলাকায়। সম্পত্তির লোভে গৃহবধূকে খুন করেছে, তার ভাসুর এমনটাই অভিযোগ মৃতের বাবা শেখ মোমিনের। দুই আড়াই মাস আগে শহীদ খানের সঙ্গে বিয়ে হয় মুসকান বিবির। কাজের সূত্রে শহীদ খান বাইরে থাকেন। সেই সুযোগ উঠিয়ে সম্পত্তির লোভে মুসকানকে রাতে খুন করেছে, তার ভাসুর রফিজুল খান ও ননদ রুফসানা বলে অভিযোগ। সকালে মেয়ের পরিবারকে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছে বলে। পরিবারের লোকেরা এসে দেখে মৃত মেয়ের শরীরে বিভিন্ন আঘাতের দাগ রয়েছে। পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেন। পরিবারের পক্ষ থেকে পিংলা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পিংলা থানার পুলিশ গৃহবধুর ভাসুর রফিজুল খান ও ননদ রুফসানা আটক করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।