East Midnapur:‘অবৈধ ভেড়ি ও ইটভাটাতেই বন্যা পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরে’, মানলেন সেচমন্ত্রী
সেচমন্ত্রী ও তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, অবৈধ ভাবে ইটভাটা ও ভেড়ি হওয়ার ফলেই আজ এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: অবৈধ ভেড়ি আর ইটভাটার রমরমার কারণে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। না, কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়। এই অভিযোগ খোদ রাজ্যের সেচমন্ত্রীর। সৌমেন মহাপাত্রর বক্তব্য সামনে আসতেই দুর্নীতি খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেচমন্ত্রী।
সেচমন্ত্রী ও তমলুকের তৃণমূল বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, অবৈধ ভাবে ইটভাটা ও ভেড়ি হওয়ার ফলেই আজ এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে অবৈধ ভেড়ির বাড়বাড়ন্তের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।কোথাও নদীর চর দখল করে, কোথাও আবার কৃষি জমি দখল করে গজিয়ে উঠেছে মাছের ভেড়ি।ভেড়ির দখল নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণহানি পর্যন্ত হয়েছে।
এবার জেলার একাধিক ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য, সেই অবৈধ ভেড়িগুলিকে কাঠগড়ায় তুললেন খোদ রাজ্যের সেচমন্ত্রী। জলযন্ত্রণার জন্য বেআইনি ইটভাটাগুলিকেও দায়ী করেছেন তিনি। সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, আমিও দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বলে আসছি, নদী তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ ভাবে ইটভাটা ও ভেড়ি হওয়ার ফলেই আজ এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধুমাত্র ভগবানপুর, পটাশপুর নয়। তমলুক, ময়না, শহিদ মাতঙ্গিনী, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, বিভিন্ন জায়গায় একই সমস্যা রয়েছে।
মন্ত্রীর বক্তব্য সামনে আসতেই আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমরা এতদিন যে অভিযোগ করে আসছিলাম, সেটা মন্ত্রী আজ মেনে নিলেন। শাসকদলের মদতেই এভাবে ভেড়ি, ইটভাটা গড়ে উঠছে। তৃণমূলের কাটমানির জন্যই ভেড়ি আর ইটভাটায় বন্যার কবলে বিস্তীর্ণ এলাকা।
অভিযোগ উড়িয়ে সেচমন্ত্রীর বক্তব্য, এতদিন যাঁরা জেলার রাজনীতি পরিচালনা করেছেন, তাঁদের মদতেই বেআইনি ভেড়ি ও ইটভাটার রমরমা হয়েছে।
দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক ব্লক। প্লাবিত পটাশপুর, ভগবানপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা।অনেক জায়গায় জল উঠে এসেছে ঘরে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন নদী অববাহিকায় গড়ে ওঠা মাছের অবৈধ ভেড়ি আর ইটভাটায় রুদ্ধ হয়েছে নদীর গতিপথ। তার জেরে ভেঙে পড়েছে নিকাশি ব্যবস্থা।এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিকাশি সমস্যা মিটবে, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সেটাই।