East Midnapur News: স্কুলে যাওয়ার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর, এলাকায় উত্তেজনা
East Midnapur Road Accident:ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। পলাতক ঘাতক লরির চালক। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান, রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: লরির ধাক্কায় (Road Accident) স্কুলছাত্রীর (School Girl) মৃত্যুর ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) মহিষাদলে (Mahishadal) উত্তেজনা। ঘাতক লরিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। পলাতক ঘাতক লরির চালক। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান, রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
পুলিশের সামনেই লরিতে ভাঙচুর চালাল ক্ষুব্ধ জনতা। লরির ধাক্কায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এভাবেই উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিল মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তনী বেরা।সেই সময়, গেঁয়োখালির দিক থেকে একটি লরি আসছিল।পিছন থেকে সাইকেলে ধাক্কা মারে এই লরিটি।গুরুতর আহত অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় স্কুল ছাত্রীর।
মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আহমেদ আলি জানিয়েছেন, ধাক্কা মারার পর টেনে নিয়ে যায় লরি। দুর্ঘটনার ছাত্রীর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।রাজ্য সড়কে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল করে। তাই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, স্কুলের সময় এই রাস্তা দিয়ে বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে যান রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছিল দুজনের। জানা গেছে, গতকাল নন্দকুমার থানা এলাকায় ৪১ নম্বর নম্বর জাতীয় সড়কের হাঁসগেড়িয়ার কাছে এই পথ দুর্ঘটনায় ঘটে। এই দুর্ঘটনার দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ২ জন। আহতরা তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রের খবর, নন্দকুমারে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে হাঁসগেড়িয়ার কাছে একটি ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলে দুজন মারা যায় এবং আহত দুজনকে তমলুক জেলা হাসপাতালে আনা হয়।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক লরির চালক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।