East Midnapur News: 'বিজেপির হয়ে প্রচার করলে সামাজিকভাবে বয়কট' তৃণমূল নেতার মন্তব্যে চাঞ্চল্য
'যাঁরা যাঁরা বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে, তাদের জামানত আমরা বাজেয়াপ্ত করব। এই রাজনৈতিক দলের হয়ে যাঁরা যাঁরা প্রচার করবে, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: আসন্ন পুরভোটে (Municipality Vote) পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) তমলুকে যাঁরা বিজেপির (BJP) হয়ে প্রচার করবেন, তাঁদের সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দিলেন শহর তৃণমূল (TMC) সভাপতি। এই ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। হুমকি বিতর্কে পরে সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।
তমলুকের (Tamluk) তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া বলেন, 'যাঁরা যাঁরা বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে, তাদের জামানত আমরা বাজেয়াপ্ত করব। এই রাজনৈতিক দলের হয়ে যারা যারা প্রচার করবে, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) তমলুক পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট করার কথা কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এখন থেকেই তার উত্তাপ ছড়াচ্ছে জেলা সদরে। বিজেপিকে হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে যাঁকে, তিনি শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া।
ভাইরাল এই ভিডিও ঘিরেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় তমলুকের মানিকতলা মোড়ে দলীয় কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেখানেই গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শহর তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া। অভিযোগ ওঠে হুমকি দেওয়ার।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চঞ্চল খাঁড়া বলছেন, যারা যারা বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে, তাদের জামানত আমরা বাজেয়াপ্ত করব। এই রাজনৈতিক দলের হয়ে যারা যারা প্রচার করবে, তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। তারা মানুষের কাজে লাগে না, তাদেরকে সমাজের কোনও কাজে লাগবে না। শাসক নেতার এই বক্তব্য সামনে আসতেই, শুরু হয়েছে বিতর্ক।
তৃণমূল নেতার ‘হুঁশিয়ারি’ পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল জানিয়েছেন, কারা সামাজিক ভাবে বয়কট হবে কিছুদিন পরে তমলুকবাসী বলে দেবে, যে নেতা একথা বলছে তার মুখ দেখা যাবে না কিছুদিন পর
চঞ্চল খাঁড়া এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বিতর্ক কী নিয়ে বলতে পারব না, বিজেপির সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই, সেক্ষেত্রে বলেছি যেখানে সমাজে বিজেপি কোনও কাজে আসে না, তাই রাজনৈতিক ভাবে সমাজ থেকে বিতাড়িত করা উচিত, এটাই বলেছি
২০১৫-র পুরভোটে ২০ আসনের তমলুক পুরসভায় ১৬টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। ৩টি আসন পায় নির্দল। ১টি আসন দখল করে বিজেপি। পরে ৩ নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় শাসক দলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯-এ। একুশের বিধানসভা ভোটে তমলুক কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে থাকলেও, পুরসভার ১২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। আর তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে বাকি ৮টি আসনে।