East Midnapur News: শুভেন্দুর দল ছাড়ার এক বছর পূর্ণ, কাঁথিতে মিষ্টি বিলি তৃণমূলের
East Midnapur Political News: শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছে কাঁথির ক্যানাল পাড়ে এই কর্মসূচিতে ছিলেন যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি-সহ কাঁথির তৃণমূল নেতারা।
পূর্ব মেদিনীপুর: তৃণমূল (TMC) ছাড়ার একবছর পূর্ণ হল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপিতে যোগদানকে কটাক্ষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) কাঁথিতে মিষ্টি বিলি করলেন (Celebration) তৃণমূল কর্মীরা।নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছে কাঁথির ক্যানাল পাড়ে এই কর্মসূচিতে ছিলেন যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি-সহ কাঁথির তৃণমূল নেতারা। শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এদিন বড়সড় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে তৃণমূল। উপস্থিত থাকবেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর দলে যোগদানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গতকাল কাঁথিতে মিছিলের আয়োজন করে বিজেপি।সেই মিছিলে লোকই হয়নি বলে তৃণমূলের দাবি। এই নিয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বিধানসভা ভোটের কয়েকমাস আগে, ২০২০-র ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহর উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গৃহশত্রু বিদায়, আপদ বিদায়ের বার্তা দিতেই এই কর্মসূচী। গৃহশত্রুদের সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়াই এর লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, গত বছর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মন্ত্রীপদ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় গিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। প্রথম সভাতেই শুভেন্দু তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন।
বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
বাড়ির সামনে তৃণমূলের অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর ট্যুইট,‘গতকাল পুলিশ দিয়েও আটকাতে পারেনি, তাই লাউডস্পিকার গান। কোনও অনুমতি, সভ্যতা ছাড়াই বাড়ির সামনে লাউডস্পিকার বাজিয়ে গান। আমাকে আটকাতে না পেরে আরও নীচে নেমেছে তৃণমূল।তৃণমূলের এই অপসংস্কৃতির দিকে নজর রাখুন বাংলার মানুষ। আমি ব্যস্ততার জন্য বাড়িতে থাকতে পারি না।কিন্তু বাড়িতে আছেন ৮৩ বছরের বাবা শিশির অধিকারী।বাড়িতে আমার অসুস্থ মা এই উপদ্রবের টার্গেট।মনে রাখবেন, যা হচ্ছে, তা কিন্তু বিচার করবে বাংলার মানুষ।’