Eastern Railway: করোনার থাবা পূর্ব রেলে, আক্রান্ত ৪ হাজারের বেশি কর্মী
Eastern Railway Update: ৪ হাজারের বেশি কর্মীর অধিকাংশই হোম আইসোলেশনে (Home Isolation)। রেলের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীও সংক্রমিত। যদিও রেলের দাবি, পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
কলকাতা: পূর্ব রেলে (Eastern Railway) দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণ (Covid19)। রেল সূত্রে খবর, পূর্ব রেলে ৪ হাজারের বেশি কর্মী করোনা আক্রান্ত। ৪ হাজারের বেশি কর্মীর অধিকাংশই হোম আইসোলেশনে (Home Isolation)। রেলের বেশ কয়েকজন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীও সংক্রমিত। তবে এই পরিস্থিতিতেও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই, দাবি পূর্ব রেলের।
এবিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, "যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তার পাশাপাশি অনেকে সুস্থও হয়ে উঠছেন। তার জন্য এখনও পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। গতকালই ৭৪ জনের টেস্ট হয়েছিল। তার মধ্যে ৭২ জনের পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ ৯৫ শতাংশের বেশি সংক্রমিত। এর পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠছেন অনেকেই। সেটাই আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু কর্মীকে আমরা হারিয়েছি। তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। আশা করছি এবার এই ধাক্কা আমরা সামলে নিতে পারব।''
এদিকে রাজ্যে (West Bengal) একদিনে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত অনেকটাই বৃদ্ধি পেল। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২২ হাজার পার করল এদিন। রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ২২ হাজার ১৫৫জন। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে একদিনে রেকর্ড ২৩জনের মৃত্যু। কলকাতায় (Kolkata) একদিনে ৭ হাজার ৬০জন সংক্রমিত, ৭জনের মৃত্যু। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Paragana) একদিনে ৪ হাজার ৩২৬জন সংক্রমিত, ৮জনের মৃত্যু। হাওড়ায় (Howrah) একদিনে ১ হাজার ৩৬১জন করোনা আক্রান্ত, ২জনের মৃত্যু। উত্তর দিনাজপুরে (North Dinajpur) একদিনে ১৭৫জন সংক্রমিত, ২জনের মৃত্যু।
উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে করোনার সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেটের (Positivity Rate) নিরিখে প্রথম স্থানে উঠে এল বাংলা। মহারাষ্ট্র, দিল্লিকে ছাপিয়ে বাংলার পজিটিভিটি রেট ৩২ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তালিকায় ডিস্ট্রিক্ট অফ কনসার্ন কলকাতায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৬০ শতাংশেরও বেশি। যা দেশের সমস্ত জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও ২ লক্ষের দোরগোড়ায়।
আরও পড়ুন: Coronavirus: 'এমন দিন আসছে নেগেটিভরা বাড়িতে থাকবেন, পজিটিভরা মাস্ক পরে ঘুরবেন', আশঙ্কা চিকিৎসকের