Railways on Gangasagar Mela:গঙ্গাসাগর মেলার জন্য একাধিক বিশেষ ট্রেন, ঘোষণা পূর্ব রেলের
Railways on Gangasagar Mela: বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি ৩টি লোকাল ট্রেনও চালু থাকবে।
কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলার (Gangasagar Mela 2022) জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা করল পূর্ব রেল (Eastern Railway)। ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারির মধ্যে চলবে ১২টি গ্যালপিং স্পেশাল ট্রেন (EMU Special Trains)। মেলা স্পেশাল ট্রেন থামবে ৬ স্টেশনে। বালিগঞ্জ, সোনারপুর, বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর, নিশ্চিন্দাপুর, কাকদ্বীপে থামবে ট্রেন।
করোনা কালে ভিড় সামাল দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। সোমবার তাদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, বিশেষ ট্রেন ছাড়াও ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি ৩টি লোকাল ট্রেনও চালু থাকবে।
১২টি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে ৩টি শিয়ালদহ থেকে (সকাল ৬.১৫, দুপুর ২.৪০, বিকেল ৪.২৪), ২টি কলকাতা স্টেশন থেকে (সকাল ৭.৩৫, রাত ৯.৩০), ৫টি নামখানা (সকাল ৯.১০,১১.১৮, সন্ধে ৬.৩৫, ৭.০৫, রাত ২.৫) , ১টি লক্ষ্মীকান্তপুর (রাত ১১.১৫) এবং ১টি কাকদ্বীপ (দুপুর ২.৪০) থেকে ছাড়বে।
আরও পড়ুন: GangaSagar Mela 2021: শুভেন্দুকে কমিটিতে চায় না রাজ্য, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রায়দান স্থগিত
তবে আগামী ১৪ জানুয়ারি কলকাতা-নামখানা ডাউন ভায়া মাঝেরহাট, বালিগঞ্জ, লক্ষ্মীকান্তপুর গ্যালপিং ইএমইউ স্পেশাল শিয়ালদহের পরিবর্তে কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে।
১৬ জানুয়ারি, রবিবার লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা-লক্ষ্মীকান্তপুর রুটে সপ্তাহের অন্য দিনের মতোই পরিষেবা মিলবে। গ্যালপিং মেলা স্পেশাল ট্রেনগুলি বালিগঞ্জ, সোনারপুর, বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর, নিশ্চিন্দাপুর এবং কাকদ্বীপে দাঁড়াবে।
তবে রেলের তরফে ভিড় নিয়ন্ত্রণের যুক্তি দেওয়া হলেও, করোনা পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলাকে ঘিরে বিতর্ক থামছেই না। মেলা বন্ধের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে। ডক্টর্স ফোরামও মেলার বিপক্ষে। তাঁদের আশঙ্কা, গঙ্গাসাগর মেলা সুপারস্প্রেডার হয়ে দাঁড়াতে পারে। আদালত যদিও শর্তসাপেক্ষে আগেই মেলায় অনুমতি দিয়েছে।
তবে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে। কোভিড বিধি ঠিকঠিক পালন হচ্ছে কি না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কি না, তার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছে হাই কোর্ট। কিন্তু তাতে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিরপেক্ষ কমিটিতে এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে যেমন, আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার দাবিও উঠছে।