SSC Case: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিনেতা-যোগ, ৪৪ লক্ষের লেনদেন, আদালতে জানাল ED
Calcutta High Court: আদালতে জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Case) এবার লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সিইও এবং ডিরেক্টরের সম্পত্তি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আদালতের নির্দেশেই সংস্থার সিইও, ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান নিয়ে ওই রিপোর্ট জমা পড়ল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
আদালতে জমা দেওয়া ওই রিপোর্টে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও সম্পত্তির খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত এক অভিনেতার সন্ধান দিল ED. মোট ৪৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে আদালতে জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। যদিও ওই অভিনেতা টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন, আদালতে জানাল ED।
আদালতে ওই রিপোর্ট জমা পড়ার পর, বিচারপতি সিনহা ED-কে প্রশ্ন করেন, "গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র একজনের সন্ধান পেলেন! আর কেউ আর্থিক লেনদেনে যুক্ত নেই?" জবাবে ED আদালতে জানায়, এখনও পর্যন্ত যতটা তথ্য এবং নথি সংগ্রহ করা গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি। তদন্ত চলছে। আরও একটু সময় দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: WB Dengue Case: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, শহরে আট দিনে মৃত ৫
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার সব ডিরেক্টর, সিইও, অভিনয় জগতের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সম্পত্তির হিসেব এবং কে, কী ভাবে এই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত, তার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো, বৃহস্পতিবার ED-র তরফে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেখানে সংস্থা তৈরির সময় থেকে বিভিন্ন মউ সংক্রান্ত তথ্য বন্ধ খামে জমা দেওয়া হয়েছে। ED জানিয়েছে, সবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আরও কিছুটা সময় লাগবে সব তথ্য সামনে আনতে।
অভিনয় জগতের কারা ED-স্ক্যানারে রয়েছে, সেই নিয়েও রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একজন অভিনেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয় সামনে এসেছে। ৪৪ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। যদিও ওই অভিনেতা জানিয়েছেন, ৪৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন তিনি। তবে ওই অভিনেতার নাম প্রকাশ করেনি ED. কিন্তু মাত্র একজন অভিনেতার সংযোগ পাওয়া গিয়েছে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। কার হাত হয়ে কার কাছে টাকা গিয়েছিল, কোন পথে টাকার লেনদেন হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে ED.