Sukanta Majumder: 'ইডি এসে হাঁটু ভাঙবে,' রাজ্যের মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতির
পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে, রাজ্যের মন্ত্রীকে ইডি-সিবিআই নিয়ে রীতিমতো শাসানি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও।
কলকাতা: 'ইডি (ED) এসে হাঁটু ভাঙবে'। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্যের মন্ত্রীকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদারকে 9Sukanta Majumder) পাত্তাই দেন না। পাল্টা সুর চড়ালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্যের মন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে, রাজ্যের মন্ত্রীকে ইডি-সিবিআই নিয়ে রীতিমতো শাসানি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা ও শাসক-ঘনিষ্ঠ। কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডেও জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে, এজেন্সির ভূমিকা নিয়ে বারবার সুর চড়াতে শোনা গেছে তৃণমূলনেত্রীকে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “কেউ কিছু বললে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দেয়। চালাকি করে আইনজীবীদের কোর্টে পাঠিয়ে কেস করে সিবিআই, ইডি করে দেয়। পঞ্চায়েতেও সিবিআই।’’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়া বলেন, “আমি নরেন্দ্র মোদিকে বলছি আমার বয়স ৩৬, আপনার ৭২। আপনি পারলে জনতার দরবারে এসে আমার সঙ্গে লড়াই করুন। আপনি না পেরে সিবিআই-ইডিকে কাজে লাগাচ্ছেন। পারলে আমায় গ্রেফতার করুন।’’
এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বলেছিল না বিজেপির হাঁটু ভেঙে দেবে। কার হাঁটু ভাঙলেন। এবার ইডি আসছে ওর হাঁটু ভাঙবে। যা চুরি করেছে হিসেব দিতে হবে। চলে যাচ্ছিল বস্তা বস্তা চাল সীমান্তে পাচার করে দিত। এত চুরি যে মন্ত্রণালয় পরিবর্তন করতে হল। এবার গাছ চুরি করছে।’’ পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “অপ্রাসঙ্গিক যুক্তিহীন কথার জবাব দিই না। পঞ্চায়েতে ভরাডুবি হবে। হারার আতঙ্কে পাগলের প্রলাপ বকছে। সুকান্তকে পাত্তাই দিই না। পরিপূর্ণ মানুষ হলে, সত্যিকারের নেতা হলে এসব বলত না।’’সব মিলিয়ে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে জোরালো হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি-তরজা।
পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসারিতে বসিয়ে আক্রমণ। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই পরোক্ষে তৃণমূলকেই ভোট। চুরির তদন্ত বন্ধ করাই তৃণমূলের লক্ষ্য। তোপ বিরোধী দলনেতার। পাল্টা জবাব দিয়েছে বাম-কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা বলেন, “দিল্লিতে যদি মোদিজি না থাকে তবে সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ হবে। দিল্লি থেকে সরকার বদল করে পশ্চিমবাংলায় সিবিআই, ইডি, এনআইএ...চুরির তদন্ত বন্ধ করতে চায়। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে চুরির তদন্ত বন্ধ হওয়া।’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Clove Farming: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা