Egra Explosion Update : তৃণমূল-যোগে দোকানের লাইসেন্স ভানু বাগের, সেখানেই অবৈধ বাজি কারখানার রমরমা, চাঞ্চল্যকর নথি প্রকাশ্যে
TMC : স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাজি বিক্রির দোকান আছে এই দাবি করে গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে এই ট্রেড লাইসেন্স বের করেন ভানু বাগ। আর এই ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়েই বেআইনি বাজি কারবার চালাচ্ছিলেন তিনি।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর : ২০১৯ সালে ভানু বাগকে ট্রে়ড লাইসেন্স দিয়েছিল তৎকালীন তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সাহাড়া পঞ্চায়েত। দোকানের নামে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। আর দোকানের জন্য বরাদ্দ সেই লাইসেন্স ভাঙিয়েই চলছিল অবৈধ বাজি কারখানা। সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বর্তমানে বিজেপি (BJP) সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, তৎকালীন প্রধান নাকি অর্থের বিনিময়ে এই লাইসেন্স দিয়েছিলেন।
এগরার (Egra) খাদিকুল গ্রামে এখনও কান পাতলে শুনতে পাওয়া যায়, স্বজন হারাদের কান্না। গ্রামে আকাশে ঘনীভূত বিষাদের মেঘ। বাতাসে, এখনও পোড়া মৃতদেহের গন্ধ। গত মঙ্গলবার, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানেই, প্রশ্ন উঠছে, কী করে এতদিন ধরে বেআইনি বাজি তৈরির কারবার চালাচ্ছিলেন ভানু ? কিসের ভিত্তিতে এই বেআইনি কারবার চলছিল ? এই চাপানউতোরের মধ্যে, এবিপি আনন্দর হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর নথি।
২০১৯ সালে, ৩০০ টাকা ফি নিয়ে, কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করেছিল, সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। 'মা সারদা আতস বাজি ভান্ডারের' নাম জারি হয় যে ট্রেড লাইসেন্স। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মা সারদা আতস বাজি ভান্ডারে'র নামে বাজি বিক্রির দোকান আছে এই দাবি করে গ্রাম পঞ্চায়েতের থেকে এই ট্রেড লাইসেন্স বের করেন ভানু। আর এই ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়েই বেআইনি বাজি কারবার চালাচ্ছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে, যে সময় ভানু এই ট্রেড লাইসেন্স বের করেছিলেন, তখন সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূলের দখলে। কিন্তু, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের পর, বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। বিজেপি চালিত পঞ্চায়েত বলেই জানান তিনি। যদিও ভানু তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত থেকে লাইসেন্স বের করায় শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি। সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপি সমর্থিত প্রধান স্বপন দন্ডপাট বলেছেন, প্রধান শান্তিলতা দাস বহু টাকার বিনিময়ে, এই কারখানার শেয়ার ছিল, টাকা নিয়েছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গে বৈধ-বাজি কী ? কোন কোন নিয়ম মেনে চলার কথা গাইডলাইনে ?
এদিকে, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে সোমবার খাদিকুল গ্রামে আসেন CID-র অফিসাররা। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কত দিন ধরে ওই কারখানায় কাজ করছেন? কত টাকা মজুরি দেওয়া হত? কত ঘণ্টা কাজ করতে হত? এই সব বিষয়ে জানতে চান CID-র অফিসাররা। পুরোটাই ভিডিওগ্রাফি করে রাখা হয়।
আরও পড়ুন, আপনিও স্বাক্ষরের সময় এমন ভুল করেন, সাবধান, জেনে নিন সঠিক উপায়?