Egra incident Update: এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার ভানু বাগ
ওড়িশা এবং সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বত্র তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এগরায় (Egra) ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের (Blast) ২ দিন পরে। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগ। ওড়িশা থেকে ধৃত ভানু বাগ ও তাঁর ছেলে। যদিও তাঁর স্ত্রীর বিষয়ে এখনও কোনও খবর মেলেনি। কটকের হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার ভানু বাগ ও তাঁর ছেলে। বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়েছিলেন ভানু। মঙ্গলবার এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এগরায় ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের ২ দিন পরেও খোঁজ মিলছিল না মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু তাঁর স্ত্রী ও ছেলের। ওড়িশা এবং সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সর্বত্র তল্লাশি চালাচতে থাকে পুলিশ। আহত অবস্থায় কাউকে দেখা গেছে কি না জানতে, ভানুর ছবিও দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, রীতিমতো পেশাদারি কায়দায় সপরিবারে গা ঢাকা দিয়েছেন ভানু বাগ। ধরা পড়ার আশঙ্কায় ঘটনাস্থলেই বন্ধ করে দেন মোবাইল ফোন। ফলে বাজিগর ভানুর হদিশ পেতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।
SSKM-এ রোনাল্ড রস বিল্ডিংয়ে বার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন বিস্ফোরণে গুরুতর জখম এগরার খাদিকুল গ্রামের দুই বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বছর ছাব্বিশের পিঙ্কি মাইতির। আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বছর আটত্রিশের রবীন্দ্রনাথ মাইতিরও। তাঁর অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্কটজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দু’জনের শরীরে বিস্ফোরণজনিত ক্ষত রয়েছে। দু’জনেই অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। গতকাল ক্ষতস্থানে ওষুধ প্রয়োগের পর, আজ ফল বোঝা যাবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী চিকিৎসা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
অন্যদিকে, এই অবস্থায় গ্রামবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আজ এগরার খাদিকুল গ্রামে যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ। এগরাকাণ্ডে লঘু ধারায় মামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ বলেন, '২০-২২ জন মারা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেন। পুলিশ যে মামলা করল তাকে ২০০ টাকা জরিমানা বা ২ মাস জেল। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে অপরাধীদের উৎসাহ দিচ্ছে। পুলিশের উৎসাহে এই ধরনের কাজ হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এগরায় গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, দুর্নীতি ও হিংসায় যুক্ত তৃণমূল। রাজ্যজুড়েই লোকে তাড়া করছে, চোর চোর বলছে। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। এগরায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল বিক্ষোভের মুখে পড়ায় কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।
এতবড় অপরাধ, এখনও কেউ সাজা পায়নি। রাঘব বোয়ালরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষের ভরসা জাগে এমন কিছু তাড়াতাড়ি করা উচিত।বিজেপির সিবিআই, ইডি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলীপ ঘোষের।