Siliguri News: 'খাবারের খোঁজে লোকালয়ে..', ভোরের আলোয় কাকে দেখে ঘুম উড়ল স্থানীয়দের ?
North Bengal Elephant Attack: আজ উত্তরবঙ্গে ফুলবাড়ী ১ও ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় হাতি দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে..
বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: সাতসকালে বুনো হাতির তাণ্ডব উত্তরবঙ্গে (Elephants Attack in North Bengal) । শনিবার সকালবেলা ফুলবাড়ী ১ও ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় হাতি দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত হাতির আক্রমণে কোনও রকমের বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তবে হাতিটি ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের পাশে ভোলার মোড় আরপিএফ-এর চার নম্বর ব্যাটেলিয়ানে ভিতরে। হাতি লোকালয়ে চলে আসার খবর পেয়ে ছুটে আসে শিলিগুড়ি ডাব গ্রাম রেঞ্জের বনকর্মীরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই হাতিটিকে নজরে রাখতে শুরু করেছেন। মনে করা হচ্ছে হাতিটি বৈকন্ঠপুর জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে খাবারের খোঁজে।
দিনের আলো ফুটতেই হয়তো পথ ভুলে আর জঙ্গলে ফিরতে পারেনি। তবে বনকর্মীরা নজর রাখছে এবং সন্ধ্যা নাগাদ তাকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে লোকালয়ে এত বড় হাতি চলে এসেছে খবর শুনে প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন হাতি দেখতে। এই খবর লেখা পর্যন্ত হাতিটি রয়েছে টি পার্ক সংলগ্ন আরপিএফ-এর চার নম্বর ব্যাটেলিয়ানের ভিতরে।
গতবছর, হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধের। আলিপুরদুয়ারে ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধকে তুলে একলহমায় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দলছুট হাতি। তাতেই এরপরেই প্রাণ হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এদিকে হাতির উৎপাত ক্রমশ বেড়ে চললেও, বনকর্মীরা সংখ্যায় কম, তাঁদের প্রয়োজনে পাওয়া যায় না বলে বলে গতবছর অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। যদিও সেই অভিযোগ এখন নেই বললেই চলে এমন দাবিও কেউ করেননি। তবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, শীতলকুচি, দিনহাটা এই সকল এলাকায় প্রায়শই হাতির তাণ্ডবের কথা শোনা যায়। তবে কি জঙ্গলে খাবারের পরিমাণ অনেকাংশেই কমে এসেছে ? এর জন্য দায়ি কারা ? চাপানউতোর সর্বত্রই।
আরও পড়ুন, সন্দেশখালির হালদারপাড়ায় উত্তেজনা, তৃণমূল নেতার পরিবারকে দেখে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা
এদিকে হাতির হানার মুখে পড়ে প্রায়শই ক্ষতিগ্রস্থ হন গরীব কৃষকরা। বিঘার পর বিঘা হাতির তাণ্ডবে উপরে যায় ফসল। এমন ক্ষতির মুখোমুখি হয় প্রায়শই ঝাড়গ্রামও। তবে বন দফতরের কাছে খবর যাওয়ার আগে, যা হবার ততক্ষণে হয়েই যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সর্বশান্ত হন গরীব কৃষকরা। তবে এবছর হাতির হানার মুখে যাতে পড়তে না হয় পরীক্ষার্থীদের, সেজন্য বিশেষ নজর ছিল প্রশাসনের। হাতি উপদ্রবের জেরে বাঁকুড়ার জঙ্গল লাগোয়া তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্রকে বিপজ্জনক হিসাবে চিহ্নিত করেছিল বন দফতর। এই প্রথমবার জঙ্গল লাগোয়া ২০টি গ্রাম থেকে শতাধিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করে দেয় বন দফতর।