Arpita Mukherjee: ৮টি ফ্ল্যাট, ৫৪ লক্ষের বিদেশি মুদ্রা, ২১ কোটি ১০ লক্ষ নগদ, অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি
Enforcement Directorate: অর্পিতার বিরুদ্ধে ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ইডি।
কলকাতা: SSC দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) গ্রেফতারির পাশাপাশি, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আটক করেছে ইডি (Enforcement Directorate)/ED)। অর্পিতার টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৭৯ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার বিদেশি মুদ্রা। কলকাতা-শহরতলিতে অর্পিতার ৮টি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে বলে খবর। বেশ কিছু জমির দলিলও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলল
অর্পিতার বিরুদ্ধে ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে ইডি। সূত্রের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শুধুমাত্র চিনতেন বলে দাবি করেছেন অর্পিতা। তাঁর বাড়ি থেকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রতীকী লাগানো খামও মিলেছে বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, চাকরির বিনিময়ে প্রাপ্ত টাকা নীচু স্তর থেকে উপর স্তরে ধাপে ধআপে পৌঁছত টাকা। চাকরিপ্রার্থীর হাত থেকে টাকা নিতেন দালাল, তার পর কর্মীদের হাত ঘুরে সেই টাকা পৌঁছত উপর মহলে। তবে পার্থকে শুধুই চিনতেন বলে দাবি করেছেন অর্পিতা।
তদন্তকারীদের নজরে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার আয়ের উৎস। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতা দাবি করেছেন তিনি অভিনয় করেন। প্রশ্ন উঠছে, অভিনয় করে কত টাকা আয় করেন অর্পিতা? ইডি সূত্রে খবর, পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার আয়ের উৎস জানতে তাঁর আয়কর সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গতকাল রাতভর অর্পিতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের ফ্ল্যাটে চলে টাকা গোনার কাজ। নিয়ে আসা হয় নোট গোনার চারটি যন্ত্র।
আরও পড়ুন: Arpita Mukherjee: রাতভর গণনা, অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি নগদ, ৫০ লক্ষের গহনা উদ্ধার
ইডি সূত্রে খবর, SSC দুর্নীতি তদন্তে তল্লাশি চালানোর পরিকল্পনার সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম ছিল না। সূত্রের দাবি, শুক্রবার তল্লাশি চালানোর সময়, ইডি-র তদন্তকারীদের হাতে পড়া একটি কাগজের সূত্র ধরে অর্পিতার নাম জানা যায়।
পার্থকে শুধুই চিনতেন, জানালেন অর্পিতা
সূত্র মারফত জানা যায়, টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথের বাসিন্দা অর্পিতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তখনই দিল্লির অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে, অর্পিতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত। অন্য জায়গা থেকে ৭-৮ জন অফিসারকে পাঠানো হয় অর্পিতার ফ্ল্যাটে। তাতেই চারটি টাকা গোনার যন্ত্র এনে বস্তাভর্তি টাকা ঢেলে গোনা শুরু হয়।