India Pakistan Situation: পর্যদুস্ত পাকিস্তান, একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা
India Pakistan Conflict: পাকিস্তান বায়ুসেনার প্রায় ২০ শতাংশ পরিকাঠামোই ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত। আর এই প্রেক্ষাপটে কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম 'ভার্গবাস্ত্র'-র সফল পরীক্ষা হল ওড়িশার গোপালপুরে।

কলকাতা: 'অপারেশন সিঁদুর'-এ মাত্র ৩ ঘণ্টায় পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। চিনের দেওয়া পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্সকে এড়িয়ে এবং জ্যাম করে মাত্র ২৩ মিনিটে ভারতের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে রাফাল, স্ক্যাল্প মিসাইল এবং হ্যামার বম্ব। এই প্রথমবার কোনও দেশ (ভারত) পরমাণু শক্তিধর কোনও দেশের (পাকিস্তান) এয়ারবেসে সফলভাবে আঘাত এনেছে। এখন প্রশ্ন হল, পাকিস্তানকে পর্যদুস্ত করার ক্ষেত্রে ভারত কতটা সফল হল? ভারতের কতটা ক্ষতি হল? ভুল হলে সেটাই বা কী? কেন যুদ্ধ বিরতি চাইল পাকিস্তান? এবিপি আনন্দের ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে এসে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র নানা প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা।
সুমন দে: পাকিস্তানকে পর্যদুস্ত করার ক্ষেত্রে এই সাড়ে তিন দিনে ভারত কতটা সফল হয়েছে?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা: এই অপারেশন শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নয় পাকিস্তানের বায়ুসেনার বিরুদ্ধে যে সংঘর্ষটা হল, তাতে আমাদের যে সাফল্য সেটা অসাধারণ। আমার সময় কিছু ভাল ভাল সিস্টেম বায়ু সেনায় যুক্ত হয়। যেমন রাফাল যুদ্ধ জাহাজ। ওই সময় S 400 লং রেঞ্জ মিসাইল সিস্টেম দরকার ছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আমি বোঝাতে পেরেছিলাম। উনি প্রস্তাবে অনুমোদন দেন। আমরা পাঁচটা সিস্টেম কিনেছিলাম। একটা নেটওয়ার্কের প্রচেষ্টা চলছিল ২০ বছর ধরে। যেটা এবার খুব কাজে লেগেছে। জঙ্গিদের যেসব ঘাঁটি ছিল, সেইসব ধ্বংস করে দিই। রাফালের সঙ্গে স্ক্যাল্প লং রেঞ্জ ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার স্মার্ট মিসাইল ছিল বড় হাতিয়ার। আমাদের এয়ারস্পেস থেকে ওদের টার্গেট ধ্বংস করতে পেরেছি।
সুমন দে: ক্ষয়ক্ষতি কতটা?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা: পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীও শক্তিশালী। দু তরফ শক্তিশালী হলে ক্ষতিও দু তরফেরই হয়। এক তরফা লড়াই হয় না। ১৯৬৫, ১৯৭১ সালে সেটা দেখেছি। খবর পেয়েছি আমাদের প্লেন ওরা বিধ্বস্ত করে দিয়েছে, সেটা সত্যি না মিথ্যে জানি না। যদি হয়, আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা। দ্বিতীয় যেদিন এই আক্রমণ করা হয় সেখানে পাকিস্তানের আকাশে যুদ্ধবিমান ওঠে। আমাদের লক্ষ্য ছিল কোনও মিলিটারি টার্গেটকে অ্যাটাক করব না। সেই জন্য আমরা হয়ত বেশ খানিকটা অবাকও হয়েছি। তার ফলে কিছুটা ক্ষতি হয়ে থাকতে। পুরো রিপোর্ট বেরোলে সবটা স্পষ্ট হবে। যখন ওরা আমাদের উপর অফেন্সিভ অ্যাকশন নিল, তারপর উল্টো প্রত্যাঘাত যেভাবে করলাম, সেটার পাল্টা কিন্তু ওরা দিতে পারেনি। আমরা কিন্তু দেখালাম দুটো দেশের নিউক্লিয়ার পাওয়ার থাকা সত্ত্বেও অনেকটা স্পেস থাকে এই পর্যায়ে যুদ্ধের অবকাশ থাকে। এবং সেই স্পেস বেশ প্রশস্ত।
সুমন দে: পাকিস্তান চেষ্টা করেও আদমপুর এয়ারবেসকে ছুঁতে পারল না কেন?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা: এখানে প্রচুর অ্যাসেটস অর্থাৎ সামরিক সরঞ্জাম আছে। এর আগে যতবার পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ হয়েছে ওরা এই এয়ারবেস হামলার চেষ্টা করেছে। কারণ ওরা জানে এটা বেশ শক্তপোক্ত। কিন্তু হামলায় ওরা বেশি কিছু ক্ষতি করতে পারেনি।
সুমন দে: নূর খান এয়ারবেসে আঘাত হানার পর কেন পাকিস্তানের যুদ্ধং দেহি মনোভাব ভেঙে গেল?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা: যেসব এয়ারবেস আক্রমণ করেছি, তার সবকটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ফেলেছি। এর থেকে ওরা বেরিয়ে আসতে পারেনি। ব্রাহ্মোস মিসাইলকে শত্রু সামলাতে পারে না। যেটা আক্রমণ করতে চেয়েছি, এয়ারবেস, কমিনিউকেশন সেন্টার, কম্যান্ড সেন্টার কিন্তু বিধ্বস্ত করা হয়েছে। এভাবে পর্যদুস্ত ওরা কখনও হয়নি। এভাবে মনোবল কখনও ভেঙে পড়েনি। বিশ্লেষণ করলে এই বিষয়টার গভীরে যাওয়া যাবে।
সুমন দে: পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মতো বিপজ্জনক প্রতিবেশী দেশকে কতটা বিশ্বাস করা যায়? সতর্কতা সহ কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা: POK নিয়ে সমস্যা থাকবেই। ওই দেশের মানসিকতা ভারত বিদ্বেষী করা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ তৈরি হল, ওরা চায় যে কাশ্মীর দিয়ে প্রতিশোধ নেবে। আমার মনে হয় না, ভারত বিদ্বেষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। যারা মৌলবাদী এবং সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে, পাকিস্তান আর্মি এবং ISI। এদের যদি শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া যায়, তাহলে কিন্তু দেশটা নর্মাল হবে এবং গণতন্ত্র ফিরে আসবে। সেটা করতে গেলে বিরাট যুদ্ধ হবে। সেটা কাম্য নয়। পাকিস্তান এমন একটা দেশ যে আমেরিকা এবং চিনের সাহায্য পায়। বাংলাদেশ বুঝবে কী ভুল ওরা করছে। এভাবে চললে শান্তি বিঘ্নিত হবে।






















