North 24 Parganas: সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম তৈরির কাপড় চুরির অভিযোগ পুরসভার চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে
১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এই দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন চেয়ারম্যান!
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপোষণ-সহ একাধিক অভিযোগে ইতিমধ্যে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত টাকি পুরসভার (Taki Municipality) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলীয় কাউন্সিলররাই! এবার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উঠল আরও মারাত্মক অভিযোগ!
সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ইউনিফর্ম তৈরির জন্য বরাদ্দ ১৮ হাজার মিটার কাপড় চুরির অভিযোগ উঠেছে টাকি পুরসভার চারজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি, এই দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন চেয়ারম্যান!
টাকি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর রিজিয়া বেগমের কথায়, 'আমাদের অভিযোগ এই কাপড়গুলো চুরি হয়েছে। আঠারো হাজার মিটার কাপড় চুরি হয়েছে। যাঁরা করেছে পুরসভার, তার সঙ্গে চেয়ারম্যানও জড়িত আছে। আমরা এর শাস্তি চাই। পুরসভার আধিকারিকরাও জড়িত আছে।চেয়ারম্যান তো চুপচাপ বাড়িতে বসে আছে। আসেই না, কোনও মানুষ পরিষেবাও পাচ্ছে না।
সরকারি স্কুলে ইউনিফর্ম তৈরির দায়িত্ব থাকে NULM দফতরের ওপর। পুরসভা সূত্রে দাবি, চুরি যাওয়া ১৮ হাজার মিটারের মধ্যে ১৪ হাজার মিটার কাপড় ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ গাজির চেষ্টায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাদুড়িয়ার যদুরহাটি এলাকা থেকে উদ্ধার করে সেই কাপড় আপাতত রাখা রয়েছে টাকি পুরসভায়।
স্কুল ইউনিফর্মের কাপড় চুরি! 'চার পুর আধিকারিকের সঙ্গে যুক্ত চেয়ারম্যানও'। তৃণমূলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলেরই কাউন্সিলরের। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি ইনচার্জ শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলছেন, এই সরকারটা চলছে চোরদের সরকার। পঞ্চায়েতে চুরি হচ্ছে। মিউনিসিপালিটিতে চুরি হচ্ছে। টাকি পুরসভায় মিড ডে মিল চুরি হচ্ছে, বাচ্চাদের যে পোশাকের কাপড়, ১৮ হাজার মিটার কাপড়, সেটা পুরপ্রধান আর তাঁর তিন-চার শাগরেদ মিলে বিক্রি করে দিয়েছে।
টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, যে ইন্সটিটিউশন এটা সাপ্লাই দিত, তাদের ডেকে পাঠিয়ে আমরা জানতে পারি, তাদের কাছে কিছু কাপড় আছে। কতিপয় আমাদের পুরসভার কয়েকজন স্টাফ তাদের সঙ্গে একটা অন্য লিঙ্কে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, কিছু অর্থনৈতিক লেনদেনের। তদন্ত করি, তদন্ত করে যাঁদের বিরুদ্ধে অবিযোগ পেয়েছিলাম NULM একটা ডিপার্টমেন্ট। তাদের কাজ স্কুলগুলোকে ইউনিফর্ম পৌঁছে দেওয়া। স্কুলগুলো থেকে আমার কাছে কখনও কোনও অবজেকশন আসেনি।
সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে টাকিতে তৃণমূলের অস্বস্তি যেন কিছুতেই কাটছে না!