Fraud: ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, কলকাতায় ফের ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ
প্রতারকদের মূল টার্গেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত প্রতারকরা।
কলকাতা: কলকাতায় ফের ভুয়ো কল সেন্টারের (Fake Call Centre) হদিশ। গতকাল রাতে চৌরঙ্গি এলাকায় হানা দিয়ে ট্রান্সলিঙ্কস নামে ওই সংস্থা থেকে ৫ মহিলা-সহ ৪০ জন গ্রেফতার। গ্রেফতার করল লালবাজারের গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। প্রতারকদের মূল টার্গেট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা। অভিযোগ, ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নাম করে বিদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করত প্রতারকরা। এরপর পরিষেবা দেওয়ার নামে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে জমা করা হত বিদেশি ব্যাঙ্কে। সেখান থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে, অথবা বিট কয়েন বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হত। আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা: ভুয়ো কল সেন্টার খুলে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ। মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা। রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ, নেই কেউ জড়িত হলে, আইন অনুযায়ী তাঁর শাস্তি হবে। ধৃতের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সহজ শর্তে মিলবে ঋণ, লাগবে কম নথিপত্র এই দাবি করেই দেওয়া হত টোপ। আর সেই ফাঁদে পা দিলেই করা হত প্রতারণা। এই অভিযোগে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় পুলিশের জালে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র এক নেতা সহ ২ জন। ধৃত টিএমসিপি নেতা হলেন অভিজিৎ সাহা। মৌমিতা দাস হাজরা নামে এক টেলি কলারকেও গ্রেফতার করে বনগাঁ পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যমগ্রামের বৈকুণ্ঠ রোডে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে চলছিল এই বেআইনি কল সেন্টার। সহজে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে বনগাঁর এক বাসিন্দার কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, প্রতারণার অঙ্ক প্রায় ২৫ লক্ষ। তৃণমূলের ছাত্রনেতা এই প্রতারণা চক্রের অন্যতম পাণ্ডা বলে পুলিশের দাবি।
সূত্রের খবর, ধৃত টিএমসিপি নেতা, বারাসাত সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্রপরিষদ সভাপতি বিশ্বজিৎ সাহার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এবিষয়ে, বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান- এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। জবাব দিয়েছে তৃণমূল। প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত, তার খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।