Gangasagar Mela 2022: দুর্ভাগ্যজনক রায়, তৃণমূলের ষড়যন্ত্রে বাদ শুভেন্দু, হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে শমীক
Gangasagar Mela 2022: পুরনো গঙ্গাসাগর নজরদারি কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়ে দিয়েছে আদালত। আর এই নতুন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে।
কলকাতা: গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela 2022) নজরদারি কমিটি থেকে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বাদ পড়ার পিছনে তৃণমূলেরই (TMC) হাত দেখছে বিজেপি (BJP)। তাদের অভিযোগ, চক্রান্ত করে শুভেন্দুকে কমিটি থেকে বা দেওয়া করিয়েছে তৃণমূল। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) রায় দুর্ভাগ্যজনক বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।
মঙ্গলবারই পুরনো গঙ্গাসাগর নজরদারি কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়ে দিয়েছে আদালত। আর এই নতুন কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। আগের তিন সদস্যের কমিটির নির্দেশ বদলে দুই সদস্যের কমিটি গড়ার কথা জানায় আদালত। তাতে চেয়ারপার্সন হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সদস্যকে সচিব করা হয়।
আদালতের এই সিদ্ধান্তেই অসন্তুষ্ট বিজেপি। রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলার নজরদারি কমিটি থেকে শুভেন্দুকে বাদ দেওয়া তৃণমূলের চক্রান্ত। দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত রায় দিয়েছে হাই কোর্ট। বিরোধী দলনেতা বলেননি, তাঁকে কমিটিতে রাখার জন্য। রাজনৈতিক কারণে রাজ্য তাঁর অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করছে। কিন্তু সরকার যেভাবে চাইছে, সেভাবেই মেলায় অনুমতি দিচ্ছে কেন আদালত? আদালত ভার্চুয়াল মাধ্যমে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের জীবনের কি দাম নেই? আশা করব, আদালত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে।’’
একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে বকেয়া চার পুরভোটেরও বিরোধিতা করেন শমীক। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন মানুষের জন্য, নির্বাচনের জন্য মানুষ নন। তৃণমূলের এক নেতা বলছেন দু’মাসের জন্য সব বন্ধ রাখতে। তৃণমূলের আসল অবস্থান কী, সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না! শুনানির জন্য আবারও দু’দিন সময় দিয়েছে। আদালতের এই অবস্থান দুর্ভাগ্যজনক।’’
করোনা কালে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আপত্তি রয়েছে এমনিতেই। সুষ্ঠ ভাবে মেলা পরিচালনার শুরুতে শুভেন্দু-সহ তিন সদস্যের যে নজরদারি কমিটি গড়ে দেয় আদালত, তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। বিশেষজ্ঞ এবং পরিসংখ্যানবিদের বদলে এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখার বিরোধিতা করে একাধিক আবেদনও জমা পড়ে কলকাতা হাই কোর্টে। তার মধ্যে রাজ্য সরকারের আবেদনও সামিল ছিল। রায় পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠে সব তরফেই।
তাতেই শেষমেশ মঙ্গলবার পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, করোনা কালে শর্ত মেনে মেলা হচ্ছে কি না, নজর রাখবে এই কমিটি। দু’টি টিকা হয়ে যাওয়ার শংসাপত্র না দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না কেউ। একই সঙ্গে মেলায় প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে হবে। তার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই প্রবেশে অনুমতি মিলবে।