Garia News: বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ, মুখ বন্ধ রাখতে সন্তানকে খুনের হুমকি
Garia Woman Molestation:রবিবার রাতে এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আর জি কর-এ চিকিৎসক ধর্ষণ খুনে উত্তাল রাজ্য থেকে দেশ। রাত থেকে ভোর, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে মুখর শহর থেকে জেলা। এই ঘটনার মধ্যেই এবার বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ। শুধু তাই নয় গৃহবধূর সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়ে তার মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা।
ঘটনাটি ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। এই ঘটনায় রবিবার রাতে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অধরা মূল অভিযুক্ত। অভিযুক্তের যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই দাবি জানালেন তার স্ত্রীও। কারণ আর জি করের ঘটনার যে প্রতিবাদ চলছে সর্বত্র সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তিনিও।
নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত একে অপরের প্রতিবেশী বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও নির্যাতিতাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা তার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে নির্যাতিতার ছেলেকে নিয়ে তার স্বামী স্কুলে বেরিয়ে যায়। সেই সময় ঘরে আর কেউ ছিল না। সেই সুযোগ বুঝে ফাঁকা বাড়িতে ঢোকে অভিযুক্ত। তারপর জোর করে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি চিৎকার করে উঠলে তার মুখ চেপেও ধরা হয়। সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়ায় ভয়ে তিনি প্রথমে কাউকে কিছু বলেননি। পরে তিনি তার বিষয়টি স্বামীকে জানান।
রবিবার রাতে এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্ত্রী জানান তারা বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডায়মন্ড হারবারে তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি ফিরে এসে এই ঘটনার কথা জানতে পারেন। অভিযুক্ত এফসিআই কর্মরত বলে জানা গিয়েছে। তারাতলা এলাকায় তার অফিস বলেও জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, সিঁথিতে মত্ত যুবকের তাণ্ডব। পাড়ার মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযুক্ত সঞ্জু মণ্ডল আর জি কর হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা কর্মী। অভিযোগ, গতকাল রাতে সবজিবাগান এলাকায় মত্ত অবস্থায় মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেন সঞ্জু। তাঁর বিরুদ্ধে সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারের দাবিতে রাতে থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী, তার বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ওঠে, পুলিশ কিছু করেনি। ছেলের তৃণমূল-যোগ স্বীকার করেছেন অভিযুক্তের বাবা। তাঁর দাবি, পাড়ার মধ্যে ঝামেলার জেরে তাঁর ছেলেকেও মারধর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে