Group C Scam: আদালতের নির্দেশ চাকরি গেল ছেলের! দলের বিরুদ্ধেই তোপ নেতার
Paschim Bardhaman News:ছেলে চাকরিচ্যুত হওয়ার পরে দলকেই ধিক্কার জানালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা।

মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান: আদালতের নির্দেশে স্কুলের গ্রুপ সি-র চাকরি গিয়েছে ছেলের। দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ২০১৮-য় দুর্গাপুর প্রজেক্ট নিউটাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে করণিক পদে। চাকরি করতেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন।
অর্ণবের বাবা সমীর মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সহ সভাপতি। ছেলে চাকরিচ্যুত হওয়ার পরে দলকেই ধিক্কার জানালেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। চাকরি গিয়েছে অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বাবা সমীর মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সহ সভাপতি। ২০১৮-য় দুর্গাপুর প্রজেক্ট টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে গ্রুপ সি পদে যোগ দেন অর্ণব। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন আইএনটিটিইউসি নেতার ছেলে। SSC-র চাকরি-বাতিলের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে ৭১ নম্বরে। ছেলের চাকরি-খোয়ানোর ঘটনায় দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা। পশ্চিম বর্ধমানের আইএনটিটিইউসি জেলা সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমার নিজেকে ধিক্কার লাগছে এখন। অবশ্যই পিছনে দাঁড়ানো উচিত ছিল সরকারের। সরকারের উচিত পদক্ষেপ করা। সরকারের থেকে ইন্টারভিউ। লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। সব প্রসেস হয়েছে।'
বিষয়টি জানাজানি হতেই স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছেন আইএনটিটিইউসি নেতার ছেলে। দুর্গাপুর প্রজেক্ট টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোতি মিশ্র আচার্য বলেন, '৯ তারিখ এসেছিল। কাল ফোন করে জানিয়েছিল শরীর খারাপ তাই যাচ্ছি না। আলাদা করে কিছু জানি না।'
আরও চাকরি বাতিল:
এখানেই শেষ নয়, তালিকায় আছে আরও নাম। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডলেরও। বিনতা কামারহাটির নন্দননগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি কর্মী ছিলেন।
মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়কের মেয়ের নাম রয়েছে ১৪১ নম্বরে। শুক্রবার ধর্মঘট-বিরোধিতায় স্কুলে হাজিরাও দিয়েছিলেন বিধায়ক-কন্যা। বিকেলে চাকরি-খোয়ানোর খবর মেলে। যদিও মেয়ের চাকরিতে দুর্নীতি-যোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়কের স্বামী। আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে হাওড়ার শিবপুরের যশোদাময়ী বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি কর্মী শেখ সাদ্দাম হোসেনের। তিনি আমতার তৃণমূল পরিচালিত সাবসিট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। একইভাবে আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল চেয়ারম্যান প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও এক জামাইয়ের। এক মেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুল, আরেক মেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের কিরণবালা বিদ্যাশ্রমের গ্রুপ সি কর্মী ছিলেন। তৃণমূল নেতার জামাই ছিলেন চাঁচলের কনুয়া ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি কর্মী।
আরও পড়ুন: দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষিকার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকি, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা






















