GTA Election: আজ জিটিএ নির্বাচন, এক দশক পর পাহাড়ে শুরু ভোটগ্রহণ
GTA Election Update: এক দশক পর, রবিবার পাহাড়জুড়ে ভোট। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর ৪৫টি আসনে নির্বাচন। তবে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলি।
দার্জিলিং: আজ ১০ বছর পর পাহাড়ে নির্বাচন (Election)। ৪৫ আসনের জিটিএতে (GTA) রবিবার, ২৬ জুন ভোট। মোর্চা, বিজেপি, জিএনএলএফ-সহ পাহাড়ের বেশ কিছু দল এবার লড়ছে না ভোটে। ত্রিস্তর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে (Siliguri Mahakuma Parishad) ভোট। লড়াই চতুর্মুখী। শুরু হয়ে গেছে ভোটগ্রহণ।
পাহাড়ে ভোটের আমেজ
এক দশক পর, রবিবার পাহাড়জুড়ে ভোট। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএর ৪৫টি আসনে নির্বাচন। তবে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে আড়াআড়ি বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলি। জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে, ভোটে লড়ছে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, বিজেপি, গোর্খা লিগ। ৪৫ আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছে, প্রথমবার লড়ে দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় আসা হামরো পার্টি। তাঁর দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩৫টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, দাবি অনীত থাপার। তৃণমূল ১০, সিপিএম ১১, কংগ্রেস ৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। জিটিএ নির্বাচনে মোট ভোটার ৭ লক্ষ ৩২৬ জন।
মোট বুথ ৯২২টি। এর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৫। জিটিএ নির্বাচনে মোট ২৭৭ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৭ লক্ষ ৩২৬ জন ভোটার। নিরাপত্তার দায়িত্বে সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। জিটিএ-র ৪৫টির মধ্যে দার্জিলিঙে ১৬, কালিম্পঙে ১৩, কার্সিয়ঙে ১৩ ও মিরিকে ৩টি আসন। ১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। সিপিএম ১২ ও কংগ্রেস ৫টি আসনে লড়ছে। দার্জিলিং সদর আসনে লড়ছেন হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড। ডালি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী বিনয় তামাং। সিটং ও দার্জিলিং, এই ২টি আসনে লড়ছেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার অনীত থাপা।
পাহাড়ের মতো সমতলেও ভোটের উত্তাপ। ২০২০ সালে মেয়াদ শেষ হয় শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের। রবিবার সেখানেও ভোট। মহকুমা পরিষদে ৯টি আসন, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতি ৬৬ আসন ও ২২টি পঞ্চায়েতের ৪৬২টি আসনে ভোট। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ৩০ হাজার, নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন ৫ হাজার পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: Nuprur Sharma seeks time from Amherst Street PS: নারকেলডাঙার পর আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা, গরহাজির নূপুর
জিটিএ ও মহকুমা পরিষদে ভোটের আগে পানিট্যাঙ্কিতে ভারত-নেপাল সীমান্ত সিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নজরদারি চলছে। শান্তিতে যাতে ভোট হয় সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আগামী ৫ বছর পাহাড় ও সমতল কাদের হাতে থাকবে তা জানা যাবে বুধবার।