(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
South 24 Parganas:গৃহবধূর হাত কেটে ফেলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী, বাসন্তীর ঘটনায় কেতুগ্রামের ছায়া?
Housewife Hand Chopped Off: গৃহবধূর হাত কেটে ফেলায় অভিযোগে নাম জড়াল প্রাক্তন স্বামীর। বাসন্তী থানার শ্রীরামপুরের ঘটনা। জখম গৃহবধূর বয়স তিরিশ বছর। তাঁর বাঁ হাত দেহ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গৃহবধূর হাত (Housewife Hand Chopped Off) কেটে ফেলায় অভিযোগে নাম জড়াল প্রাক্তন স্বামীর। বাসন্তী থানার শ্রীরামপুরের ঘটনা। জখম গৃহবধূর বয়স তিরিশ বছর। তাঁর বাঁ হাত দেহ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
যা জানা গেল...
বছর তিরিশের গৃহবধূর পরিজনদের দাবি, হাতের পাশাপাশি তাঁর পায়ের শিরা কেটে দেওয়া হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে পেটেও। নৃশংস ঘটনার পর থেকেই খোঁজ নেই অভিযুক্ত শাহজাহান মোল্লার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি ছিল। তবে এক সপ্তাহ আগে তাঁদের 'তালাক' হয়ে যায়। এরপর, রবিবার সকলে আচমকাই হামলা চলে বছর তিরিশের ওই গৃহবধূর উপর। ঘটনাটি বছরদেড়েক আগেকার আরও একটি শিউরে ওঠার মতো ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে অনেককে। সেটি অবশ্য পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ঘটেছিল। সেখানে নির্যাতিতা ছিলেন রেণু খাতুন। সরকারি নার্সের চাকরি পেয়েছিলেন রেণু। অভিযোগ, সেই কারণে স্ত্রীর ডান হাত কব্জি থেকে কেটে নিয়েছিল স্বামী।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রী নার্সের চাকরি করলে তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন এই আশঙ্কায় অভিযুক্ত এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কেতুগ্রামের চিনিসপুরের এই ঘটনা জেনে শিউরে উঠেছিল গোটা রাজ্য। জানা যায়, রেণু যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই সময় স্বামী কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে ঘরে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে হাত কেটে দেন। এতেই শেষ নয়। এর পর, কাটা হাত বাড়িতে ফেলে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তিও করে দেয় অভিযুক্ত শের মহম্মদ শেখ। পরে দুর্গাপুরের এক নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় রেণুকে। ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবতীর পরিবার। পরে, অবশ্য তার সহকর্মীদের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল, যে চাকরির জন্য হাত খোয়াতে হয়েছিল সেই চাকরি যেন পান রেণু। পরে স্বাস্থ্য দফতর থেকে রেণুর বাড়িতে ফোন গিয়েছিল। কথা হয় পরিজনদের সঙ্গে। ঘটনায় গ্রেফতারও হন আক্রান্তের শ্বশুর-শাশুড়ি। পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেতুগ্রামে স্বামীর হামলায় হাত হারানো রেণু খাতুনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তৈরি’। পূর্ব বর্ধমানে নন নার্সিং স্টাফ হিসেবে কাজে যোগ দেবেন তিনি।'
কেতুগ্রামের ঘটনায় প্রশাসন যে ভাবে যুবতীর পাশে দাঁড়িয়েছে, বাসন্তীর নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার দিতে তারা একই ভাবে তৎপর হবে তো? উত্তর দেবে সময়।
আরও পড়ুন:আগে জানলে তৃণমূলে ফিরতাম না : অর্জুন সিংহ